ইশা আর ইন্দ্রনীলের প্রেমের খবর টলিপাড়ায় রটেছে বহুদিন আগেই। আর তাতেই নাকি চিড় ধরেছিল ইন্দ্রনীল-বরখার ১৩ বছরের জাম্পত্যে। অবশেষে ডিভোর্সের জল্পনায় শিলমোহর দিলেন বরখা। কী বললেন তিনি?
1/5 ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত ও বরখা বিস্তের আলাদা হওয়ার খবরে মনে আঘাত পেয়েছিল তাঁদের ভক্তরা। অনেকটা সময় কেটে গিয়েছে এরপর। তবে দুজনেই আর সেভাবে সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেননি। এখন শোনা যাচ্ছে অফিসিয়ালি ডিভোর্সটা নিতে চলেছেন তাঁরা। সত্যি কি তাই? E Times-এর কাছে এই ব্যাপারে মুখ খুললেন অভিনেত্রী বরখা।
2/5 বরখা জানালেন খুব জলদিই তাঁরা অফিসিয়ালি আলাদা হয়ে যাবেন একে-অপরের থেকে। অভিনেত্রীর কথায়, ‘হ্যাঁ আমাদের ডিভোর্সটা জলদিই হচ্ছে। এটা আমার জীবনের অন্যতম কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল।’, যদিও কোনও মন্তব্য করেননি ইন্দ্রনীল। বরখা-ইন্দ্রনীলের ১৩ বছরের দাম্পত্য জীবন টালমাটাল হওয়ার নেপথ্যের কারণ হিসাবে বারবার উঠে এসেছে টলি অভিনেত্রী ইশা সাহার নাম। খবর ‘তরুলতার ভূত’ নামে একটি ছবিতে কাজ করার সময়ই ইশার প্রেমে পড়ে যান ইন্দ্রনীল। যদিও নতুন ‘ফেলুদা’ তা বরাবরই অস্বীকার করে এসেছেন।
3/5 ইন্দ্রনীল এবং বরখা ২০০৬ সালে ‘প্যায়ার কা দো নাম… এক রাধা এক শ্যাম’-এর সেটে প্রথম দেখা তাঁদের। এরপর প্রেমে পড়েন। ও বছর দুইয়ের মধ্য়ে বাঁধেন গাঁটছড়াও। তাঁদের ১১ বছরের মেয়ে রয়েছে মাইরা। ২০২১ সালের জুন মাসে যখন তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদের খবর আসে তা অনেকেই বিশ্বাস করতে পারেননি। টিভির লাভ বার্ডসের বিয়ে ভাঙার খবরে অবাক হয়েছিলেন বন্ধু-সহকর্মীরাও।
4/5 ডিভোর্সের কারণ নিয়ে মুখ না খুললেও বরখা জানালেন, ‘আমি একা মা এবং মীরাই আমার অগ্রাধিকার। কাজের ফ্রন্টে, OTT স্পেসে বেশ কিছু আকর্ষণীয় প্রকল্প রয়েছে হাতে। টিভি এবং চলচ্চিত্রেও ভালো প্রজেক্টের জন্য আমি নিজেকে উন্মুক্ত রেখেছি।’ বরখা অনেক টিভি শো এবং সিনেমাতেও কাজ করেছেন। তাঁকে শাদি মুবারক, পরমাবতার শ্রী কৃষ্ণ, রাম লীলা এবং ভিলেনের মতো সিনেমায় দেখা গিয়েছে।
5/5 এর আগে মেয়ের জন্মদিনে বরখা সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্টে করে লিখেছিলেন, ‘প্রিয় মীরা। এটা তোমার ১০ বছরের জন্মদিন। মা হিসেবে আমার জীবনেও মাইলস্টোন। আমি চাই জীবনে তুমি অনেক কিছু হও। একজন বিদ্রোহী, এক যোদ্ধা, সাহসী, দয়ালু। লিস্টটা অনেক লম্বা। আমি যেটুকু পারি সেরার সেরাটা তোমাকে উপহার দিতে পারি। তুমি আমার গর্ব। আজীবনের জন্য তুমি আমার।’