পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যের প্রতিটা মানুষ সাক্ষী থেকে গোটা বাংলা জুড়ে দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্যের। বেলাগাম হিংসা, খুনোখুনি কিছুই বাদ যায়নি। ভোট কাউন্টিংয়ের মতো গোনা হয়েছে মৃতের সংখ্যা। আর এই সমস্ত ঘটনাই দেখে শুনে বীতশ্রদ্ধ বিদ্বজনেরা।
ভোট ঘিরে বারবার বাংলায় ঘটে চলা এই হত্যালীলা এবং অরাজকতা নিয়ে মুখ খুললেন বাংলার বুদ্ধিজীবীরা। খোলা চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আবেদন করলেন তাঁর নেতৃত্বে রাজ্য সরকার যেন দ্রুত এই হিংসা বন্ধ করতে তৎপর হয়। এই বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে রয়েছেন অপর্ণা সেন, কৌশিক সেন প্রমুখরা।
বাংলায় পঞ্চায়েত ভোটকে নিয়ে এই হিংসার দামামা বেজেছিল মনোয়ন পত্র জমা দেওয়ার সময়ই। ভোটদান পর্ব, ভোট গণনার সময়ই বোমাবাজি, অবাধে ছাপ্পা দেওয়া, মারামারি, ব্যালট চুরি করা সহ নানা ঘটনা ঘটেছে। মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের। আহত হয়েছেন তারও বেশি। আর এই নিহত বা আহতদের তালিকায় যেমন বিরোধী দলের কর্মীরা আছেন, তেমনই আছেন শাসক দলের কর্মীরা। বাদ যাননি সাধারণ ভোটাররা। এমনকি ভোট গণনার দিনও একাধিক জায়গায় উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। সবটা মিলিয়েই যে একটা অশান্তির পরিবেশ তৈরি গিয়েছিল সেটা বলাই যায়।
আর এবার এই ভোট সন্ত্রাস নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিলেন রাজ্যের বিদ্বজনেরা। এই চিঠিতে সাক্ষর করেছেন অপর্ণা সেন, কৌশিক সেন, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, জাস্টিস অশোক গঙ্গোপাধ্যায়, অরিত্র সেন, কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, চন্দন সেন, প্রমুখ। তাঁরা তাঁদের চিঠিতে এই হিংসার জন্য খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে দায়ী করেছেন।
কী লেখা ছিল সেই চিঠিতে?
'আপনি অবগত আছেন যে ৮ জুন থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত ৩৭ দিনে পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ৫২ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। বহু মানুষ নিখোঁজ।
আরও পড়ুন: সূর্যশেখর গঙ্গোপাধ্যায়ের জীবনী এবার বড় পর্দায়! মুক্তি পেল 'দাবাড়ু'র প্রথম পোস্টার
আপনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব অস্বীকার না করেও এই কথা অবশ্যই বলা যায় যে এই পঞ্চায়েত নির্বাচন কেন্দ্রিক যে হত্যালীলা এবং অরাজকতার দায়িত্ব মূলত পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং আপনার। কারণ স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের উপর ভিত্তি করেই কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং নির্বাচন কমিশনকে চলতে হয়।
পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এই দায়িত্ব আপনি কোনও ভাবেই অস্বীকার করতে পারেন না।...'