শাহরুখ-দীপিকার ‘পাঠান’ ছবির প্রথম গান ‘বেশরম রং’ ঘিরে চলছে তুমুল চর্চা। নিন্দার ঝড় বইয়ে দিয়েছেন গেরুয়া শিবির। এই গানে স্পেনে সাহসী পোশক পরে দীপিকার সঙ্গে রোম্যান্স করতে দেখা গিয়েছে শাহরুখকে। শুক্রবার নিন্দুকদের বিরুদ্ধে সরব পরিচালক ওনির।
টুইট করে ওনির লিখেছেন, ‘ভাবতে পারছি না একগুচ্ছ রাজনীতিবিদদের জন্য বিতর্কের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় (যাদের খ্যাতি জন্য দাবি ঘৃণা প্রচার করা এবং দেশকে বিভক্ত করা এবং সহিংসতা উসকে দেওয়া) এবং মূলধারার মিডিয়া, একটি গানের জন্য দুই অভিনেতার পরিধান করা পোশাক!’ তিনি হ্যাশট্যাগগুলিও যুক্ত করেছেন- বেকারত্ব, মুদ্রাস্ফীতি এবং জলবায়ু সংকট।
আরও পড়ুন: অঝোরে কান্না অক্ষয়ের, এই আবেগঘন পুরনো ভিডিয়ো মন ছুঁলো সলমনের, কী ঘটেছিল

ওনিরের টুইট
ওনির টুইটারে একটি বৈদ্যুতিন খবরের চ্যানেলের ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন। ভিডিয়োতে সাধ্বী প্রজ্ঞা ‘পাঠান’-এর বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছেন। পরিচালক লিখেছেন, ‘ফিল্ম সার্টিফিকেশন বোর্ড/বিচার বিভাগ/আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কোনও পয়েন্ট নেই .. এখন গুন্ডারা সিদ্ধান্ত নেবে আমরা কী দেখব। ভয়ঙ্কর সময় ...’।

ওনিরের টুইট
বৃহস্পতিবার, ওনির একজন টুইটার ব্যবহারকারীকে তুলোধনা করেছেন। ওই নেটিজেন গানের স্ক্রিনশট শেয়ার করে লিখেছিলেন, ‘কেমন স্বামী, কটা টাকার জন্য তাঁর স্ত্রীর প্রকাশ্যে শ্লীলতাহানি করতে দেয় বা সহ্য করে? শুধু জিজ্ঞেস করছি!!!’
ওনির এই টুইটের পালটা উত্তরে লিখেছিলেন, 'হ্যাঁ..., অসুস্থ মানসিকতা, 'অনুমতি দেয়', 'সহনশীল'। এই কথাগুলি শুনে মনে হচ্ছে, তিনি পুরুষদের সেই গোষ্ঠীর অন্তর্গত যারা মনে করেন একজন স্বামী নারীর মালিক। শুধুমাত্র একটি অশ্লীল মানসিকতাই এমন একটি মন্তাজ তৈরি করতে পারে। অবসর নিয়েছি এবং এখন ছবি জুম করে ঘৃণা ছড়ানো ছাড়া আর কিছুই করার নেই।'
সিনেমাপ্রেমীদের কাছে হট টপিক হল শাহরুখ খানের আগামী ছবি 'পাঠান।' নতুন করে এই ছবি নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। ইতিমধ্যেই একাধিক হিন্দুত্ববাদী সংগঠন এই ছবির কড়া সমালোচনা করেছেন। শুধু তাই নয়, উঠেছে বয়কটের ট্রেন্ড। এবার এক মুসলিম সংগঠনও দাবি তুলেছে এই ছবির নাম পালটানোর জন্য। তাঁদের মতে মুসলমানদের ধর্মীয় ভাবাবেগে এই ছবির নাম আঘাত করতে পারে। মধ্যপ্রদেশের উলেমা বোর্ডে ছবির নাম বদলানোর দাবি করেছেন।
অন্যদিকে ১৫ ডিসেম্বর কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে স্বয়ং কিং খান ছবি বয়কট ট্রেন্ড নিয়ে মুখ খোলেন। তিনি বলেন, সমাজমাধ্যমের নেতিবাচক প্রভাবের কারণেই ছবি বয়কট ট্রেন্ড দেখা যাচ্ছে। আর এতে সিনেমার ক্ষতি হচ্ছে বলেই তিনি জানান।