কেরিয়ারের শুরু থেকেই একের পর এক সাহসী চরিত্রে অভিনয় করেছেন ভূমি পেদনেকর। ‘দম লগাকে হাঁইসা’র সাধারণ-মোটা গৃহবধূ থেকে ‘বধাই দো’-র সমকামী পিটি টিচার, সব চরিত্রেই সমান উজ্বল অভিনেত্রী। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে ‘টয়লেট এক প্রেম কথা’, ‘লাস্ট স্টোরিজ’-এর মতো হটকে ছবি। সোনচিড়িয়া-র মতো ছবিতে ডি-গ্ল্যাম চরিত্রে অভিনয়েও পিছপা হননি ভূমি। গত বছর ভূমি অভিনীত ছবি ‘থ্যাঙ্ক ইউ ফর কামিং’-এর কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল অর্গ্যাজম। আরও পড়ুন-অন্য মেয়েকে উড়ন্ত চুমু ‘মির্জা’ অঙ্কুশের, রচনার সামনেই তেড়ে গেলেন ঐন্দ্রিলা!
এতকিছুর বলেও ভূমি জানালেন, 'নারী-কেন্দ্রিক প্রোজেক্ট' এই শব্দবন্ধ পছন্দ করেন না তিনি। নিজের মতামত শেয়ার করে ভূমি জানান, ‘একটি ভুল ধারণা রয়েছে যে দর্শক মহিলাদের নাম ঘিরে তৈরি চলচ্চিত্র বা বিষয়বস্তু দেখার জন্য সহজে আকৃষ্ট হয় না। এই ধরনের প্রকল্পগুলিকে অবিলম্বে ’নারী কেন্দ্রিক ছবি' হিসাবে ব্র্যাকেটবন্দি করা হয়। এটি বিরক্তিকর ব্যাপার, আমি অন্তর থেকে বিষয়টিকে ঘৃণা করি। দর্শকদের পছন্দকে কখনই লিঙ্গভেদ সংজ্ঞায়িত করে না। দর্শক ভালো সিনেমা দেখতে চায়, ভালো কনটেন্ট দেখতে চায়। তারা লিঙ্গের ভিত্তিতে এটি দেখতে পছন্দ করছেন! এটা হাস্যকর।
ভূমি আরও বলেন, ‘যদি তাই হতো তাহলে আমি ইন্ডাস্ট্রিতে টিকতাম না, পর্দায় অসাধারণ শক্তিশালী নারী চরিত্রে অভিনয় করে আমি ক্যারিয়ার গড়েছি! আমি ভাগ্যবান কারণ আমি এমন এক সময়ে কাজ শুরু করেছিলাম যখন মেয়েদের জন্য অনেক সুন্দর চরিত্র লেখা হচ্ছিল। আমি ভাগ্যবান যে পরিচালকরা আমার অভিনয় পছন্দ করেছেন এবং আমাকে এমন কিছু অবিশ্বাস্য সুন্দর প্রকল্পে বেছে নিয়েছেন, যা শেষমেষ পরিবর্তনের জোয়ার এনেছে’।
নিজের মতামতকে সমর্থন করে ভূমি জানান, তাঁর শেষ হিট 'ভকশক' ছিল সামাজিক কল্যাণের জন্য সিস্টেমের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য একজন মহিলার লড়াইয়ের গল্প। দর্শক নারীকেন্দ্রিক এই ছবিকে গ্রহণ করছে বলেই সেটি বক্স অফিসে হিট হয়েছে, জানান নায়িকা।
ভূমির মতে, চলচ্চিত্র নির্মাতাদের উচিত মেয়েদেরও সমান সুযোগ দেওয়া। নারীকেন্দ্রিক ছবি সফল হওয়ায়, বলিউড সুপারস্টার হিরোদের নিয়ে যে বাজেট এবং স্কেলের ছবি তৈরি হয় এবার সময় এসেছে হিরোইনদের নিয়েও একইরকম বাজেট ও স্কেলের ছবি তৈরি করার।