একসময় বলিউডে ওপেন সিক্রেট হয়ে উঠেছিল কঙ্গনা রানাওয়াত ও হৃত্বিক রোশনের সম্পর্ক। ২০১০ সালে ‘কাইটস’, ২০১৩ সালে ‘কৃশ’-এর মতো ছবিতে একসঙ্গে অভিনয় করেছিলেন দুজনে। বলিউডে সেই সময় এই দুই তারকার সম্পর্কের গুঞ্জন চাউর হয়েছিল। কিন্তু বিচ্ছেদের পর সম্পর্কের তিক্ততাও প্রকাশ্যে এসেছিল। আর সেই তিক্ততায় কঙ্গনা নাম জড়িয়েছিলেন বলিউডের বিখ্যাত গীতিকার জাভেদ আখতারের।
জাভেদ আখতারকে সুইসাইড গ্যাঙের সদস্য বলেও কটাক্ষ করেছিলেন অভিনেত্রী। এবার কঙ্গনা-জাভেদ যুযুধান। বম্বে হাইকোর্টে কঙ্গনার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা ঠুকেছেন জাভেদ আখতার। মামলা বাতিলের জন্য কোর্টের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী। মামলার জেরেই বর্তমানে বম্বে হাইকোর্টে একে অপরের মুখোমুখি হন দুজনে। আপাতত আবেদনের রায় স্থগিত রেখেছে বম্বে হাইকোর্ট।
খবর, এজলাসে মামলার শুনানির সময় কঙ্গনা ও তাঁর বোন রঙ্গোলি চান্ডেলের অভিযোগ, হৃত্বিকের সঙ্গে সমস্যা মিটিয়ে নিতে বলেছিলেন জাভেদ। কঙ্গনা-হৃত্বিকের অশান্তির সময় তাঁকে নিজের বাড়িতে মীমাংসার জন্য ডেকে পাঠিয়েছিলেন জাভেদ আখতার। এমনকি সেই ২০১৬ সালে সেই সময় কঙ্গনা ও রঙ্গোলি জাভেদের সঙ্গে দেখাও করতে গিয়েছিলেন।
সেই সময় কঙ্গনা এবং হৃত্বিকের মধ্যে ই-মেল চালাচালির বিষয় সকলের সামনে এসেছিল। কঙ্গনার দাবি তাঁদের ডেকে জাভেদ আখতার বলেছিলেন, 'হৃত্বিক ও তাঁর বাবা খুবই প্রভাবশালী। তাই তাঁদের সঙ্গে লড়াইয়ে না গিয়ে, কথা বলে বিষয়টি মিটিয়ে নাও।' যদিও কঙ্গনার দাবি, কথাটি পরামর্শ নয় বরং হুমকির ছলেই তাঁকে বলা হয়েছিল।
এবিষয় আদালতে নিজের সাফাই দিয়ে বয়ানে জাভেদ আখতার বলেছেন, ‘কঙ্গনাকে শান্ত করার চেষ্টা করেছিলাম। গুরুজন হিসেবে ওকে ভাল উপদেশ দিয়েছিলাম। হৃত্বিকের সঙ্গে সমস্যা ও মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলাম। তবে কঙ্গনা আমার একটাও কথা শোনেনি। বলেছিল, কোনও কথাই শুনবে না। যা ঠিক মনে হয় তাই করবে। আমার পরামর্শ শোনার মতো মানসিকতাও ছিল না ওর। বলেছিল হৃত্বিককে দেখে নেবে। এই কথা শোনার পর আমি আলোচনার প্রসঙ্গ পালটে দিয়েছিলাম। ওকে কিছু উপহার দিয়েছিলাম। চা-কফি খেতে অফার করেছিলাম’।
এদিকে সুশান্ত সিং মৃত্যুর পরই ফের একবার বিষয়টি নিয়ে সরব হন কঙ্গনা। জাভেদ আখতারের প্রসঙ্গ তুলে অভিনেত্রী বলেন, বলিউডে একটি সুইসাইড গ্যাঙ আছে। যাঁরা প্রতিনিয়ত আউটসাইডারদের আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়। তাঁদের মধ্যে অন্যতম জাভেদ আখতার। অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর জাতীয় স্তরের এক বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারের সময় এমন কথা বলেছিলেন কঙ্গনা। সেই সাক্ষাৎকার দেখার পরই কঙ্গনার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন জাভেদ আখতার।