পাঁচ বছরের অধ্যবসায় অবশেষে সুফল আনল। রণবীর কাপুর-আলিয়া ভাট অভিনীত ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ শুক্রবারই মুক্তি পেয়েছে দেশজুড়ে। চলতি বছরের সবচেয়ে চর্চিত এই বলিউড ছবি তৈরি হয়েছে প্রায় ৪১০ কোটির বাজেটে। তাই হিটের তকমা পেতে এই ছবিকে বক্স অফিসে একটু বেশি ভালো ফল করতে হবে।
শুরু থেকেই ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ ঘিরে আলোচনার শেষ নেই। বিতর্কও কম হয়নি এই ছবিকে ঘিরে। দু-দিন আগেই উজ্জ্বয়নের মহাকাল মন্দিরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় ‘রালিয়া’কে। সেই শুরু হয় নতুন জলঘোলা। এই সবের মাঝেই শুরুটা ভালোই করল এই ছবি।
অগ্রিম বুকিং-এর নিরিখেই বোঝা যাচ্ছিল ব্রহ্মাস্ত্র দেখতে দর্শক হলে সিট ভরাবে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত পর্যন্ত এই ছবির ১৯ কোটির আগাম টিকিট বিক্রি হয়েছিল। বহুদিন পর হিন্দি ছবির বাজারে মন্দা কেটেছে ‘ব্রহ্মাস্ত্র’র হাত ধরে। ট্রেড অ্যানালিস্টদের দাবি, মুক্তির প্রথমদিন রণবীরের এই ছবির কালেকশন দাঁড়াবে ৩৫-৪০ কোটির আশেপাশে। অভিনেতা সঞ্জয় দত্তের বায়োপিক রণবীরের কেরিয়ারের সবচেয়ে বড় ওপেনার। এই ছবির প্রথম দিনের কালেকশন ছিল ৩৪.৫০ কোটি। সেই অঙ্ক পার করবে ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ দাবি বিশেষজ্ঞদের। দিল্লি-মুম্বইয়ের বেশ কিছু এক্সিবিটর দাবি করেছেন ৪০ কোটির ফিগারও পার করে যেতে পারে অয়ন মুখোপাধ্যায়ের এই ছবি।
আজ সকাল সকাল প্রেক্ষাগৃহে ৪০-৫০ শতাংশ আসন ভর্তি। বক্স অফিস ইন্ডিয়ার রিপোর্ট বলছে করোনা পরবর্তী সময়ে এটাই হিন্দি ছবির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ। গণপতি বিসর্জনকে ঘিরে শুক্রবার সকালে কার্যত স্তব্ধ থাকে মুম্বই-সহ গোটা মহারাষ্ট্র, তা সত্ত্বেও সকালের শো-তে সিনেমাহলে ৫০% দর্শক থাকাটা হিন্দি ছবির নির্মাতাদের ক্ষেত্রে সুখের খবর।
আরও পড়ুন-চকচকে VFX সর্বস্ব ছবির গল্পের বুনোট আলগা,সহায় ‘রালিয়া’র রসায়ন
বাণিজ্য বিশ্লেষক কোমল নাহাটা আগেই বলেছিলেন ‘ব্রহ্মাস্ত্রের শুরুটা নিঃসন্দেহে বড়সড় ভাবে হতে চলেছে। বয়কট সংস্কৃতির মৃত্যু এই ছবির হাতেই।’ খাতায়-কলমে দেখা যাচ্ছে কোমল নাহাটা-র প্রথম লাইনটা মিলে গিয়েছে। দেশে ১০ হাজার স্ক্রিনে মুক্তি পাওয়া ‘ব্রহ্মাস্ত্র’, তবে শুরুটা ভালো হলেও ছবির মান যদি ভালো হয় তবেই লোকমুখে প্রচারভাবে এই ছবি। সেটি সঙ্গে না থাকলে ৪০০ কোটির বাজেটে তৈরি ছবির ‘ফ্লপ’ তকমা এড়ানো মুশকিল। প্রথম দিন প্রায় ৫০ কোটি আয় করবার পরেও বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছিল আমিরের ‘ঠগস অফ হিন্দুস্তান’।
অন্যদিকে রণবীরও নিজের মুখে বলেছেন, ছবি হিট বা ফ্লপ হয় তাঁর কনটেন্টের জন্য বয়কট ট্রেন্ডে কিচ্ছু আসে যায় না।