বিগ বসের মতোই জনপ্রিয়তা পেয়েছে এটির ওটিটি ভার্সন। জাদ-আকাঙ্খার চুমু খাওয়া থেকে শুরু করে, বেদিকা আর জাদের ঝগড়ায় রেগে গিয়ে বিদেশি মুণ্ডার পশ্চাৎ প্রদর্শন, সবই এসেছে খবরে। তবে রিপোর্ট বলছে, সম্প্রতি বিগ বসের ঘর থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন সাইরাস বারোচা। পারিবারিক কিছু সমস্যার কারণে নিতে হয়েছে তাঁকে এমারজেন্সি এক্সিট।
গত সপ্তাহের উইকেন্ড কা ওয়ারেই সলমনের কাছে সাইরাসকে কাকুতি-মিনতি করতে দেখা গিয়েছিল, যাতে তাঁকে ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়র অনুমতি দেওয়া হয় স্বাস্থ্যের দিকে নজর রেখে। সাইরাসের মতে, তাঁর বয়স সবে ৫১। ঠিকঠাক খাবার না পেয়ে কয়েক সপ্তাহেই কমে গিয়েছে ওজন। রাতে ৩ ঘণ্টার বেশি ঘুমও হচ্ছে না। এই অবস্থায় নিজের শরীরের ঝুঁকি নিতে চান না আর। শো থেকে বেরিয়ে যেতে চান। এমনকী, সলমন ও বিগ বসের তরফ থেকে শত বোঝানো সত্ত্বেও নিজের বক্তব্য থেকে একচুল সরতে রাজি হন না সাইরাস। শেষে সলমন স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, বিগ বসের ঘরে প্রবেশের আগে কনট্র্যাক্টে সাইন করেছেন তিনি। তাই এভাবে যখন ইচ্ছে ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।
খবর, বিগ বসের ঘর থেকে সাইরাস বাইরে বের হলেও তা ব্যক্তিগত কারণে নয়। বরং পারিবারিক কারণে। মেডিক্যাল এমার্জেন্সির কারণে এক্সিট নিয়েছেন। কার স্বাস্থ্যে সমস্যা এসেছে সে ব্যাপারে কোনও নিশ্চিত খবর না মিললেও, শোনা যাচ্ছে বড় সমস্যায় পরিবার। ‘সাইরাস এবং তাঁর পরিবারের অনুরোধে, আমরা আপনাদের এই কঠিন সময়ে গোপনীয়তা রক্ষার অনুরোধ করছি’, বলা হয়েছে একটি স্টেটমেন্টে।
সাইরাসের বিগ বসের ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার খবর অনলাইনে শেয়ার করে নিয়েছে একটি পাপারাৎজি অ্যাকাউন্ট। যা শুনে বেশ হতাশ বিগ বসের অনেক দর্শকই। একজন লিখেছেন, ‘এবারের সিজনের সবচেয়ে ভালো মানুষ। এই বয়সেও এত ভালো হাস্যরস খুব কম লোকের থাকে! জলদি সব ঠিক হয়ে যাক এই প্রার্থনা করিছি।’ আরেকজন লিখলেন, ‘সাইরাসকে মিস করব খুব।’
তবে সাইরাসের ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার খবর এখনও আন অফিসিয়াল। মুখ খোলেনি কালার্স কিংবা বিগ বসের নির্মাতারা।
তবে একাংশের মতে, বিগ বসের ঘরে একঘেয়েমি নিয়ে এসেছিলেন সাইরাস। না কোনও টাস্কে ভাগ নিতেন, না করতেন ঘরের কাজ। তাই সাইরাস চলে যাওয়ায় খেলায় কোনও পার্থক্য আসবে না।