Dadagiri 1o-Jojo: দাদাগিরিতে এক হাতে ডাম্বল ওঠাল গায়িকা জোজো, ফেল সুপারম্যান! চোখ কপালে সৌরভের

‘লিকপিকে চেহারা’র সুপারম্যানকে হারিয়ে ডাম্বল এক হাতে তুলে নিলেন জোজো। কাণ্ড দেখে হেসে অস্থির সৌরভ।

এক হাত ডাম্বল তুলে নজর কাড়লেন জোজো। 

বর্ষশেষের রাতে দাদাগিরির মঞ্চে দেখা মিলল গায়িকা জোজো মুখোপাধ্যায়ের। এমনিতেই খেলতে আসা অতিথিদের সঙ্গে মস্তি করার কোনও সুযোগই ছাড়েন না সৌরভ। এদিনও এক ছবিই ধরা পড়ল ক্যামেরার সামনে।

শো-তে সুপারম্যানের পোশাকে এসেছিলেন এক তরুণ। আর ‘লিকপিকে চেহারার’ সেই তরুণ নিয়ে আসেন ডাম্বেল। যা সে তুলতে পারে না নিজেই। আর তখনই সৌরভের দিকে তাকিয়ে জোজো বলে ওঠেন, ‘দাদা আমি সুপারম্যানকে নিজের সঙ্গে নিয়ে যেতে চাই।’

এরপর এগিয়ে আসেন ডোডো। সামনে থাকা ভারী ডাম্বল তুলে নেন নিজের হাতে। আর সুপারম্যান ও জোজোর এই মস্তি দেখে হাসি ধরে রাখতে পারেননি সৌরভও। চুটিয়ে উপভোগ করেন সেটে উপস্থিত সকলেই।

সেপ্টেম্বর থেকে সম্প্রচার শুরু হয়েছে দাদাগিরি ১০-এর। প্রথম থেকেই বাঙালির হট ফেভারিট দাদা। মাঝে একটি সিজনের সঞ্চালনার দায়িত্ব মিঠুন চক্রবর্তী সামলালেও, সেভাবে সিজনটি দর্শক মনে দাগ কাটতে পারেনি। ফের আসেন সৌরভ সঞ্চালনার দায়িত্বে। শুরুর সপ্তাহে দাদাগিরি ১০ শুক্রবার ও শনিবার সম্প্রচার হলেও, বর্তমানে তা আসছে শনি ও রবিবারে। 

অন্য দিকে, ইন্ডাস্ট্রিতে জোজোর পরিচয় মিস জোজো নামেই। অভিনেতা অভিনেতা মৃণাল মুখোপাধ্যায়ের সুযোগ্য কন্যা তিনি। শৈশবে মা-বাবার কাছেই গানে হাতেখড়ি হয় জোজোর। মৃণাল সবসময় চাইতেন, মেয়ে সময় নিয়ে সংগীতের প্রাথমিক তালিম তার থেকেই নিক। কিন্তু পিতৃহারা হন গায়িকা। 

এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাবার প্রসঙ্গে জোজো জানিয়েছিলেন, ‘বাবা পুরাতণী গান খুব ভালো জানতেন। চাইতেন, আমিও যাতে নিজের গানকে সমৃদ্ধ করি। নানা কারণে সেটা আর তখন হয়ে ওঠেনি। আসলে ভাবতে পারিনি বাবা এত তাড়াতাড়ি চলে যাবেন। থাকলে হয়তো লকডাউনেও অনেক কিছু শিখতে পারতাম।’

‘বাবার ছবিতেও অনেক গান গেয়েছি। আমার কাজের প্রশংসা হলে বাবা গর্ব বোধ করতেন। আমায় জানাতেন যে মানুষ আমার কাজ পছন্দ করছেন।’, আরও বলেছিলেন জোজো।