বক্স অফিসে টিকিট বিক্রির ঘোড়া দৌঁড়ে শেষ হাসি থাকল প্রভাসের মুখেই। রাজকুমার হিরানির পরিচালনায় শাহরুখ খানের সিনেমা পেরেই উঠল না আর! sacnilk.com-এর প্রাথমিক রিপোর্ট অনুসারে শুক্রবার ডাঙ্কি ব্যবসা করেছে ৭.২৫ কোটির। অন্য দিকে, সালারের শুক্রবারের আয় ছিল ১০ কোটি।
চলতি বছরে দু দুটো ১০০০ কোটির সিনেমা উপহার দিয়েছেন কিং খান। যদিওবা দুটোই ছিল অ্য়াকশন ফিল্ম। এমনকী, ২০২৩-এর সফল সিনেমার তালিকায় চোখ রাখলে দেখা যাবে, অ্যানিম্যাল হোক বা টাইগার ৩, যে সব সিনেমা বক্স অফিসে রাজত্ব করেছে, তার বেশিরভাগই অ্যাকশনধর্মী। আর এই হিসেব খেটে গেল সালারের ক্ষেত্রেও। বাহুবলী ২-এর পর ফের একবার বড় সাফল্যের মুখ দেখলেন প্রভাস।
সালার বক্স অফিস কালেকশন:
বিশ্বব্যপী ইতিমধ্যেই ৬০০ কোটির ঘর ছুঁয়ে ফেলেছে সালার। আর ভারতের বক্স অফিসে আয় ৩১৮ কোটি। হিন্দির পাশাপাশি মোট চারটি ভাষায় মুক্তি পেয়েছে সালার। যদিও ব্যবসা করেছে তেলুগু-তেই বেশি।
দেবার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন প্রভাস ছবিতে। আর তার বন্ধু বরদারাজার চরিত্রে সুকুমারণ। জগপতি বাবু হয়েছে রাজামান্নার। যে খানসারে-র বিশাল সাম্রাজ্যের রাজা। উত্তরসূরি হিসেবে ছেলে বরদারাজাকে বেছে নেয় সে। কিন্তু মুকুট জয়ের পথে আসে ষড়যন্ত্রের কাঁটা। আর তখনই রক্তগঙ্গা বইয়ে দেয় দেবা।
ডাঙ্কি বক্স অফিস কালেকশন
শুক্রবার আয় মন্দ হল না ডাঙ্কি-রও। ৭.২৫ কোটি তুলল ঘরে। আর মোট আয় গিয়ে দাঁড়াল ভারতের বাজারে ১৬৭.৫২ কোটি। বিশ্বব্যপী আয়ের হিসেবেও শাহরুখ অনেক পিছিয়ে প্রভাসের থেকে। ছবি সদ্য পেরিয়েছে ৩০০ কোটির ঘর।
রাজকুমার হিরানির সিনেমা স্বপ্ন দেখার উৎসাহ দেয়। পঞ্জাবের ছোট্ট গ্রাম লাটুর থেকে চার ছেলেমেয়ে উন্নত জীবনের আশায় ভয়ংকর ডাঙ্কি পথ পেরিয়ে যায় লন্ডনে। সেখানে গিয়ে শুরু হয় জীবনের নতুন সংগ্রাম। আর এই যাত্রায় হার্ডি (শাহরুখ) আগলে রাখে তাঁর বন্ধুদের, প্রেমিকা মান্নুকে (তাপসী)। ছবি জুড়ে হাসি, দুঃখ, আনন্দের সব মশলা ঢেলেছেন রাজকুমার হিরানি।
তবে আশা রাখা যাচ্ছে, বর্ষশেষ ও নতুন বছরের শুরুতে বেশ বড় একটা লাফ মারবে দুটি সিনেমাই। আপাতত জানুয়ারি ২৫-এর আগে সেরকম কোনও বড় রিলিজও নেই। বক্স অফিসে অনেকটা সময় পেয়ে যাবে ডাঙ্কি আর সালার দুজনেই। অর্থাৎ বহু রেকর্ড ভাঙার সম্ভাবনাও ভরে ভরে।