শুক্রবারই জমজমাট বিয়ের আসর বসেছিল সন্দীপ্তা সেন আর সৌম্য মুখোপাধ্যায়ের। বাইপাস সংলগ্ন এক ভেন্যুতে চার হাত এক হয়। তবে এখানেই শেষ নয়। আরও এক হাইপ্রোফাইল বিয়ের অনুষ্ঠান হবে বছরের শেষেই। সৌরভ দাস আর দর্শনা বণিকের বিয়ে ১৫ ডিসেম্বরে।
সৌরভ-দর্শনার বিয়ে নিয়ে সেভাবে খবর ছিল না কারও কাছে। দুজনের প্রেম নিয়ে গুঞ্জন থাকলেও, তা অফিসিয়াল করেননি দুই তারকার কেউই। তাই বিয়ের খবর সামনে আসার পর চমকে যান অনেকেই। তা কবে থেকে হয়েছিল এই সম্পর্কের শুরুয়াত?
প্রতিদিনকে দর্শনা জানালেন, ‘২০২১ সাল থেকে পরপর কাজ করেছি। ২০২২ সাল থেকে কাছাকাছি আসি। সম্পর্কটা ব্যক্তিগতই রাখতে চেয়েছিলাম। যতদিন না বিয়ের সিদ্ধান্ত নেই।’ অভিনেত্রী জানালেন, তিনি আর সৌরভ দুজনেই চাইতেন সেটল করতে। তিনি লিভ ইনে বিশ্বাসী নন সেভাবে। সৌরভও চাননি লিভ ইনে যেতে আর। দুজনেই চেয়েছিলেন বিয়েটা সেরে ফেলতে। ‘সব ঠিকঠাক থাকলে জলদি বিয়ে করে নেব ঠিক করে রেখেছিলাম দুজনে। বিয়ে করেই দেখতে চাই সম্পর্কটা ওয়ার্কআউট করছে কি না।’, বক্তব্য দর্শনার।
সৌরভকে বিয়ে করছেন দর্শনা জানার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে কটাক্ষ। ‘ফালতু ছেলে’, ‘মাতাল-গাঁজাখোর’ বলা হচ্ছে ট্রোল করে। দর্শনা যদিও মনে করেন, সৌরভকে নিয়ে ভুল ইমেজ রয়েছে মানুষের মনে। আসল মানুষটা মোটেও সেরকম নয়। বরং হবু বরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন অভিনেত্রী। বলতে শোনা গেল, ‘সৌরভ খুব ইমোশনাল। আমার থেকেও বেশি। খুব সহজেই কাঁদতে পারে। সেটে দেখেছি সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করে। টেকনিশিয়ান হোক বা উঁচু পদের কোনও লোক। কোনও বন্ধু যদি রাত দুটোতেও ফোন করে সৌরভকে, ও সাহায্য করবে।’
একদিন সকালে হঠাৎ করেই বিয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন দর্শনা। সৌরভ ফোন করে বলেছিল, ‘কাকু বাড়িতে আছে? কথা বলতে আসব। তোমাকে বিয়ে করতে চাই।’
দর্শনার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর আগে অনিন্দিতা বসুর সঙ্গে দীর্ঘসময় লিভ ইন করেছিলেন সৌরভ। দুজনে একসঙ্গে থাকবেন বলে, ফ্ল্যাট কিনে তা সাজিয়েওছিলেন। কিন্তু হঠাৎই তা ভেঙে যায়। সেই সময়তেও অভিযোগের আঙুল উঠেছিল সৌরভের দিকেই। সৌরভ আর মধুমিতা সরকারের নাম জড়িয়ে গিয়েছিল হঠাৎ করে পাহাড়ে ছুটি কাটানোর একটি ছবিকে কেন্দ্র করে।
দর্শনা স্পষ্ট জানিয়েছেন, হবু বরের অতীতের দিকে তাকানোর কোনও ইচ্ছেই তাঁর নেই। এমনকী তাঁর বাবাও উপদেশ দেন সবসময় ‘পিছন দিকে তাকাতে নেই’। সৌরভের সঙ্গে সামনের সময়টাই এখন সাজাতে চান সুন্দর করে।