ছাদ আলাদা হয়েছে বছর দুয়েক আগে। তবে কাগজে কলমে তাঁরা আজও স্বামী-স্ত্রী। শুধু তাই নয়, ডিভোর্সের মামলাও দায়ের করেননি তাঁরা। কথা হচ্ছে দেবলীনা দত্ত ও তথাগত মুখোপাধ্যায়ের। একটা সময় টলিপাড়া আদর্শ দম্পতি হিসাবেই সকলে চিনতো তাঁদের। কিন্তু বছর দুয়েক আগে আচমকাই আলাদা হন দুজনে।
তাঁদের সম্পর্ক ভাঙার পিছনে বারবার উঠে এসেছিল তৃতীয় ব্যক্তির নাম। সেই তৃতীয় ব্যক্তি হলেন তথাগত-র ভটভটি নায়কা বিবৃতি চট্টোপাধ্যায়। গত কয়েক মাসে বিবৃতি-তথাগতর ঘনিষ্ঠতা নিয়ে কমচর্চা হয়নি। তাঁদের সহবাস নিয়ে এখন কম আলোচনা হয়নি। কিন্তু দেবলীনা-তথাগতর বন্ধন একেবারে ছিন্ন হয়নি তার প্রমাণও মিলেছে।
তথাগতর আসন্ন ছবি ‘পারিয়া’। প্রেম-দিবসের প্রাক্কালে মুক্তি পাবে পথকুকুরদের নিয়ে তৈরি তথাগতর এই ছবি। নাম ভূমিকায় বিক্রম চট্টোপাধ্য়ায়। দেবলীনা-তথাগত দুজনেই সারমেয় অন্ত প্রাণ। পারিয়ার প্রচারে সামিল হলেন দেবলীনাও। হাসিমুকেই তথাগতর ছবির সমর্থনে গলা ফাটালেন।
দেবলীনার দুই চারপেয়ে সন্তান-চেরি আর মোগলিকে কোলে নিয়েই ক্যামেরার মুখোমুখি অভিনেত্রী। বললেন, ‘ওরা আমার ছেলে-মেয়ে। আমি ওদের মা। আসলে আমি ওদের দিদিমা’। পাশাপাশি রাস্তার বহু পারিয়াকে খাওয়ানোর কাজ নিঃশব্দে করে চলেছেন দেবলীনা। তাঁকে বলতে শোনা গেল, ‘স্বাভাবিকভাবে একজন মা তাঁর সন্তানদের জন্য যতদূর যেতে পারে আমিও ওদের জন্য ঠিক ততদূরই যেতে পারি’। মানুষ সন্তানদের জন্য যেমন স্বপ্ন সাজায় বাবা-মা। তেমন কোনও সন্তান স্বপ্ন এই চারপেয়েদের জন্য নেই, দেবলীনা শুধু চান ওরা আজীবন সুস্থ থাকুক আর হাসিখুশি থাকুক।
কিছুদিন আগেই টুডেস স্টোরি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দেবলীনার মা-কে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘যখন বিয়েটা হয় ও আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল। যে এরকম একটা মানুষ আছে। যেহেতু বড় হয়েছে আমি বলেছিলাম, যেটা ভালো বুঝবে করো। মানুষ হিসেবে তথাগত মুখার্জী যথেষ্ট ভালো। যেসব কর্তব্য করার করেছে। ব্যাপারটা হচ্ছে ওদের, স্বামী-স্ত্রীর। আরেকটা যেটা দরকার সেটা হল ভালো থাকে। একসঙ্গে ভালো থাকছ নাকি আলাদা হয়ে ভালো থাকছো।’
প্রশ্নকর্তা এরপরই দেবলীনার মা-কে প্রশ্ন করেন, ‘বিয়ে একটা ইনস্টিটিউট। যখন সেটা থেকে বেরিয়ে আসা, বা সেই নিয়মগুলো না পালন করা…’। তবে এবারে কথার মাঝেই থামিয়ে দেন দেবলীনা। বলে ওঠেন, ‘আমাদের ডিভোর্স হয়নি কিন্তু।’
এর আগেও দেবলীনাকে বলতে শোনা গিয়েছে, তথাগত চাইলে তবেই তিনি আইনিভাবে বিচ্ছেদের পথে হাঁটবেন। অভিনেত্রী বলেছেন, ‘এসব সই করে একসঙ্গে থাকা, বা ডিভোর্স ফাইল করা আমাদের কাছে কখনও গুরুত্বপূর্ণ নয়। কাগজ গুরুত্বপূর্ণ নয় বরং মানসিকভাবে সইটা বা আলাদা হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। তবে আমাকে জিজ্ঞেস করলে আমি বলব, আমরা আলাদা হইনি কখনও।’
২০২৩-এ জোড়া লেগেছে রাহুল-প্রিয়াঙ্কার ভাঙা সম্পর্ক। ছেলে সহজের জন্য সব ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে নিয়েছেন তাঁরা। দেবলীনা-তথাগতও কি নিজেদের মধ্যেকার দূরত্ব মিটিয়ে ফের এক হবেন? উত্তরটা সময় দেবে।