তাঁর ‘বেশরম রং’-এ ফিদা কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী। এই মুহূর্তে বলিউডের মোস্ট ওয়ান্টেড নায়িকা তিনি। শাহরুখের লাকি চার্ম দীপিকা আক্ষরিক অর্থে বলিউড আউটসাইডার। বাবা জনপ্রিয় ব্যাডমিনটন প্লেয়ার, তবে ক্রীড়াক্ষেত্র নয়, গ্ল্যামার জগতেই কেরিয়ার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এই দীর্ঘাঙ্গি। দেখতে দেখতে বলিউডে ১৫ বছর লম্বা সফর পার করে ফেলেছেন তিনি।
দীপিকার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলোচনা কম হয়নি, তবে সব সমালোচনা-বিতর্ক দূরে ঠেলে তাঁর কেরিয়ারগ্রাফ দেখতে তাক লেগে যাবে। ‘ওম শান্তি ওম’-এর শান্তিপ্রিয়া থেকে ‘জওয়ান’-এর ঐশ্বর্য, সবতেই চোখ টানেন তিনি। তাঁর ঝুলিতে হিটের সংখ্য়া অজস্র। দীপিকার ফিল্মি কেরিয়ার কোনও স্বপ্ন উড়ানের চেয়ে কম নয়।
দীপিকার উপলব্ধি, ‘যখন ১৫-২০ বছর আগে তুমি একজন আউটসাইডার ছিলে, তোমার কাছে কোনও অপশন ছিল না। যদি তোমার বাবা-মা সেই দুনিয়ার মানুষ না হন, তাহলে সেখানে জায়গা পাওয়াটা সবার জন্যই কঠিন। বিষয়টা শুধু ফিল্ম নয়, সব ইন্ডাস্ট্রিতে প্রযোজ্য। তবে এই নোপোটিজমকে নিয় চর্চাটা হালে শুরু হয়েছে। নতুন ট্রেন্ড। নেপোটিজম তখনও ছিল, এখনও আছে আর ভবিষ্যতেও থাকবে। এটা আমার রিয়ালিটি’।
কিন্তু নিজের চেষ্টায় এতটা পথ পেরিয়ে গর্বিত দীপিকা। তিনি বলেন, ‘আগে আমাকে অনেককিছু সামলাতে হয়েছে। শুধু পেশাগতভাবে নয়, ব্যক্তিজীবনেও। তখন আমি যৌবনের দোড়গোড়ায়। নতুন শহর, নতুন পরিবেশ, বন্ধু নেই। পরিবার পাশে নেই। কী খাব? সেটাও ভাবতে হত। তখন সুইগি,জোম্যাটোর চল ছিল না। নিজের ব্যাগপত্তর নিজেকেই বইতে হত। কিন্তু কোনওদিন সেই পরিস্থিতিকে কঠিন মনে হয়নি। অনেক সময় বাড়ি ফেরার পথে ট্যাক্সিতে ঘুমিয়ে যেতাম ক্লান্তিতে। আমরা সুরক্ষা নিয়ে মা অন্য শহরে বসে দুশ্চিন্তা করত। আজ যখন ফিরে তাকাই, মনে হয়- তুমি পেরেছো! তুমি এটা করেছো নিজের চেষ্টায়।’
বক্স অফিসে দীপিকাকে শেষ দেখা গিয়েছে শাহরুখের জওয়ান ছবিতে। অ্যাটলির এই ছবিতে এক্সটেন্ডেড ক্যামিও চরিত্রে দেখা মিলেছে নায়িকার। বিক্রম রাঠোরের স্ত্রী তথা আজাদের মা, ঐশ্বর্যর ভূমিকায় তাক লাগিয়েছেন দীপিকা। অনেকের মতেই নয়নতারাকে ছাপিয়ে সব লাইমলাইট কেড়ে নিয়েছেন অভিনেত্রী।
আগামিতে সিদ্ধার্থ আনন্দের ফাইটারে দেখা যাবে দীপিকাকে। এই ছবিতে প্রথমবার হৃতিকের সঙ্গে জুটিতে রণবীর ঘরণী।