ইতিমধ্যেই ‘হবুচন্দ্র রাজা গবুচন্দ্র মন্ত্রী’ নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছে দর্শকদের মধ্যে। বিশাল অর্থ ব্যয় করার পাশাপাশি এই ছবি একধারে যেমন ছোটদের তেমনই বর্তমান রাজনীতির গন্ধও পাওয়া যাবে এর পরতে পরতে। মঙ্গলবারই ছবির প্রযোজক দেব ঘোষণা করলেন যদি দলে দলে দর্শক প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে এই ছবি দেখে, তাহলে অবশ্যই তিনি এই ছবির সিক্যুয়েল বানাবেন।
গত মঙ্গলবার ছবির রাজামশাই ওরফে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে লাইভে এসে এই ঘোষণা করেছেন সাংসদ-অভিনেতা।সঙ্গে আরও জানিয়েছেন যদি রূপকথার মোড়কে মোড়া এই গল্পে কেউ বর্তমান রাজনীতির গন্ধ পান তাহলে তা পুরোটাই কাকতালীয়। অবশ্য যদি কেউ পান তাহলে তিনি যেন তা অবশ্যই দেবকে জানান। দেবের কথায়, 'হাস্যরস আর ব্যঙ্গ কৌতুক নিয়ে তৈরি ছবি অনেক সময়েই দ্ব্যর্থক হয়।
লাইভে এসে ছবি তৈরির নানান গল্প শোনা যায় দেব ও শাশ্বতর মুখে। দু'জনকেই বলতে শোনা যায় এই ছবির অলঙ্কার এবং অহঙ্কার কবীর সুমন। তাঁর তৈরি করা সুর, বাঁধা গান এই ছবিকে অন্য মাত্রা দিয়েছে। জানা যায় ছবির পরিচালক অনিকেত চট্টোপাধ্যায় প্রথমে 'রাজামশাই' এর চরিত্রের জন্য অভিনয়ের প্রস্তাব দেবকে দিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে রাজি হননি এই সাংসদ-অভিনেতা। তারপর তিনিই বলেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের নাম। রাজার মন্ত্রী হিসেবে দর্শক দেখতে পাবেন খরাজ মুখোপাধ্যায়কে। রানির ভূমিকায় রয়েছেন অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়। এরই মাঝে জোর গলায় শাশ্বত জানান যে ছবিতে 'বুড়ো মন্ত্রী' হিসেবে শুভাশিস মুখোপাধ্যায় যা অভিনয় করেছেন তা বহুদিন পর্যন্ত দর্শকের স্মৃতিতে অটুট থাকবে। এছাড়াও শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কবিতার ছন্দে বলা হয়েছে ছবির সংলাপ।
কথায় কথায় দেব জানান, ২০১৯ থেকেই এই ছবির কাজ শুরু হয়েছিল। সেই সময় লোকসভা নির্বাচনের 'প্রাইম টাইম'। সিনের পর দিন প্রচারের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। প্রযোজক-অভিনেতার মন্তব্য, 'ওই জন্যেই তো আমার চেনাজানাদের হাতে ছবির দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছিলাম। যাতে নিশ্চিন্তে আমার কাজ করতে পারি। এর আগেও শাশ্বত দা, শুভাশিসদা, অনিকেতদার সঙ্গে কাজ করেছি। তাই নিশ্চিন্ত ছিলাম। সেভাবে মাথা ঘামাতে হয়নি আমাকে'।
তাহলে কি শেষপর্যন্ত এই রূপকথা ছবির সিক্যুয়েল তৈরি হচ্ছে? আর হলে কবেই বা হবে? দেবের সোজাসুজি জবাব, 'আমার সাহস আপনারা, দর্শকেরা। আপনারা যদি প্রেক্ষাগৃহে এসে ছবিটি দেখেন, ভালবাসেন, তা হলে কথা দিচ্ছি, অবশ্যই 'হবুচন্দ্র রাজা'-র সিক্যুয়েল বানাব।’