বর্ষীয়ান অভিনেতা ধর্মেন্দ্র তাঁর শেষ সিনেমা রকি অর রানি কি প্রেম কাহানি-তে চুমু খেয়েছেন প্রকাশ্যে। যা নিয়ে কম চর্চা হয়নি। অভিনেতা আজকাল বেশ সক্রিয় থাকেন সামাজিক মাধ্যমে। শনিবার ভোরে সামাজিক মাধ্যমে করলেন একটি পোস্ট শেয়ার। যা অবাক করেছে অনেককেই।
৮৮ বছর বয়সী এই কিংবদন্তি অভিনেতাসকাল ৫টা ২১ মিনিটে তাঁর টুইটাপ অ্যাকাউন্টে একটি সিনেমার দৃশ্যের ছবি শেয়ার করেছিলেন। যেখানে তাঁকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। এই পোস্টের সঙ্গে দেওয়া ক্যাপশন একপ্রকার হতবাক করল ধর্মেন্দ্রর অনুরাগীদের। তবে এটি খানিক পরে মুছে দেন তিনি।
লেখা হয়েছিল, ‘যা কিছু অপরাধ আছে, সব ক্ষমা করে দাও ঈশ্বর। ক্রমশ শেষের সময় চলে আসছে। আর পরীক্ষা নিও না। তোমার দয়াতেই বেঁচে আছি।’ এর আগে মাঝরাতে রুটি খাওয়ার পোস্টও করেন তিনি। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠতে থাকে, হঠাৎ কী হল।
১ মার্চ মানে শুক্রবার কাক ভোরে অর্থাৎ ৩টে ৫২ মিনিটে ধর্মেন্দ্র তাঁর অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলে (X) একটি ছবি শেয়ার করেছিলেন, যাতে তাকে ঘুমন্ত অবস্থায় দেখা যায়। তার চুল এলোমেলো এবং তার হাতে একটি প্লেট। এই ছবি শেয়ার করে ধর্মেন্দ্র লিখেছিলেন- ‘এখন মধ্যরাত, আমি ঘুমাতে পারছি না, আমার খিদে পেয়েছে। বন্ধুরা, বাসি রুটি মাখনের সঙ্গে দারুন লাগে।’ এর সঙ্গে তিনি একটি হাসির ইমোজিও যোগ করেন। এই ছবিতে ধর্মেন্দ্রকে তার প্লেট থেকে রুটি এবং মাখন খেতে দেখা যায়। এই পোস্টটিও পরে ডিলিট করে দেওয়া হয়।
কিছুদিন আগেই ধর্মেন্দ্রর ঘনিষ্ঠ এক সূত্র মারফত জানা যায়, শরীর সেভাবে ভালো যাচ্ছে না বর্ষীয়ান অভিনেতার। সঙ্গে দ্বিতীয় পক্ষের কন্যা সন্তান এষা দেওলের ডিভোর্স স্বামী ভরত তখতানির সঙ্গে তাঁকে ফেলেছে চিন্তায়।
সেই সোর্স সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিল, ‘কোনও বাবা-মা-ই তাঁদের সন্তানদের সংসার ভেঙে যাচ্ছে দেখে খুশি হতে পারেন না। এষা ও ভরত দুজনেই ধর্মেন্দ্রকে ভীষণ শ্রদ্ধা করে। তিনি দেওল পরিবারের ছেলের মতো, অন্যদিকে এষা হলেন বাবা ধর্মেন্দ্রের চোখের মণি এবং তিনি চান যে ওরা সর্বদা সুখী থাকুন। যেহেতু তার পরিবারে বিচ্ছেদ আসছে, তিনি সত্যিই দুঃখিত হয়েছেন, এবং এই কারণেই তিনি চান যে তাঁরা আলাদা হওয়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করুক। এষা ও ভরতের দুই মেয়ে রাধ্যা ও মিরায়া দুজনেই দুই পরিবারের খুব কাছের। বিচ্ছেদ বাচ্চাদের উপর খারাপভাবে প্রভাব ফেলে। তাই ধরমজি মনে করেন, যদি বিয়ে বাঁচানো যায়, সেটার চেষ্টাই তাঁদের করা উচিত।’