তিনি রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। বাংলার মা-মাটি-মানুষের গুরুদায়িত্ব তাঁর কাঁধে। সবকিছু সামলেও সংস্কৃতিবান মানুষ মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর আঁকা ছবি কোটি কোটি টাকায় বিক্রি হয়, কবিতা, গান লেখেন তিনি। তাঁর স্বরচিত কবিতার বই ‘কবিতাবিতান’ তো রীতিমতো জনপ্রিয়। আরও পড়ুন-রচনার সঙ্গে রুটি বেলবেন মমতা, টিভিতে কবে দেখা যাবে সেই এপিসোড?
সদ্য দিদি নম্বর ১-এর মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন মমতা। সেখানেই ‘সর্বগুণসম্পন্না’ দিদির বহুমুখী প্রতিভার ঝলক উঠে আসবে। শুক্রবার জি বাংলার তরফে সামনে আনা হল এপিসোডের তিন নম্বর প্রোমো। প্রথমবার কোনও রিয়ালিটি শো-এর মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী, প্রচারে ঘাটতি রাখতে চাইছেন না নির্মাতারা।
দ্বিতীয় প্রোমোতে নিজের হারিয়ে যাওয়া শৈশবের কথা বলে আক্ষেপ করেছিলেন মমতা। কিন্তু নতুন প্রোমোয় বেশ চনমনে মেজাজে পাওয়া গেল তাঁকে। প্রোমোর শুরুতে লাইভ পেন্টিং করতে দেখা গেল দিদিকে। এরপর ‘আহা কী আনন্দ’ গানে গলা মেলালেন মুখ্যমন্ত্রী। রচনার সঙ্গে মমতার বহুচর্চিত রুটি বেলার ঝলক উঠে এল। পুরোপুরি গোল রুটি বানিয়ে দিদি দেখিয়ে দিলেন গৃহকর্মেও কতখানি নিপুণা তিনি। ডোনার নাচের ঝলকও ধরা পড়েছে এই প্রোমোয়।
শেষে নিজের লেখা কবিতার বই, কবিতাবিতান থেকে একটি কবিতা পড়ে শোনালেন তিনি- ‘আমার লক্ষ্মী চন্দ্র, সূর্য আকাশে জ্বলে তারা। আমার লক্ষ্মী ধনধান্যে নবান্ন দিয়ে ভরা’। দিদির কবিতা শুনে মুগ্ধ রচনা,ডোনারা।
এর আগের প্রোমোয়, নিজের ছেলেবেলার কথা বলতে গিয়ে আবেগতাড়িত হয়ে মমতা বলেন- ‘এত ছোটবেলায় বাবা- মা মারা গেছে, তখন সংসারটা আমাকেই মেইনটেন করতে হয়েছে। তখন আমার ১০-১১ বছর বয়স...। আমি রাত ৩টের সময় উঠে রান্নাবান্না করে, তারপর স্কুলে যেতাম। আমার ছোটবেলাটা হারিয়ে গেছে...।’
সূত্রের খবর, এই বিশেষ এপিসোডে প্রতিযোগী হিসাবে নয়, বিশেষ অতিথি হিসাবে অংশ নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এপিসোডে প্রতিযোগী হিসাবে থাকছেন ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়, অরুন্ধুতী হোমচৌধুরী এবং শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাকিদের হারিয়ে শো জিতেছেন সৌরভ ঘরণী। দিদির সঙ্গে এক মঞ্চ ভাগ করে নিতে পেরে উচ্ছ্বসিত তিনি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চলতি সপ্তাহেই দিদি নম্বর ১-এর মঞ্চে দেখতে পাবেন আপনি। আগামী রবিবার অর্থাৎ ৩রা মার্চ, দিদি নম্বর ১-এর সানডে স্পেশ্যাল এপিসোডে হাজির হবেন মুখ্যমন্ত্রী। রাত ৮টা থেকে সম্প্রচারিত হবে সেই এপিসোড। মমতার আগমনে দিদি নম্বর ১-এর টিআরপি এক ঝটকায় বেড়ে যাবে সে নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই।