এমনিতে কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকেন। টলিপাড়ার লোকজনের সঙ্গেও বিশেষ পার্টি করতে দেখা যায় না অভিনেত্রী, সঞ্চালিকা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পার্টি করলেও সেটা খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গেই করেন। অথবা সময় পেলে ছেলেকে নিয়ে চলে যান বেড়াতে। ২ অক্টোবর গান্ধী জয়ন্তীর দিনই ছিল রচনার জন্মদিন। ওই দিন একপ্রকার সর্বত্রই ছুটি থাকে, শ্যুটিংও বন্ধ থাকে। তাই জন্মদিনটা নিজের মনের মতো করেই কাটালেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জন্মদিনে বাড়িতেই নিজের কাছের বন্ধুদের সঙ্গে জমিয়ে পার্টি করলেন রচনা। নিজের বাড়িতেই জমিয়ে মজা করেছেন অভিনেত্রী। রচনা নিজেই ইনস্টাগ্রামে একটি মজার ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন। যেখানে রচনার কিছু বন্ধুদের তাঁর সঙ্গে গানের তালে তাল মেলাতে দেখা গেল। রাতের পোশাকে নিজের বেডরুমেই সকলের সঙ্গে নাচতে দেখা গেল রচনাকে। সঙ্গে সকলের সঙ্গে মিলে কেকও কেটেছেন তিনি। ভিডিয়োতে অবশ্য সব শেষে দেখা গিয়েছে অভিনেত্রীকে, নাচতে নাচতে লাফিয়ে বিছানায় উঠে বসেছেন রচনা।
সোশ্যাল মিডিয়ার বার্থ ডে পার্টির ভিডিয়োটি পোস্ট করে ক্যাপশানে 'দিদি নম্বর ওয়ান' রচনা লিখেছেন, ‘এইরকম আরও মজা করি, ঘুরতে যাই, স্মৃতি তৈরি করি, আরও এমন কেক কাটি।’ অর্থাৎ এমন দিন বারবার ফিরে পেতে চেয়েছেন রচনা। অর্থাৎ জন্মদিনা যে রচনার মন্দ কাটেনি, তা তাঁর লেখাতেই স্পষ্ট।
আরও পড়ুন-'ফাহাদ ও আমার মেয়ে হিন্দু ও মুসলিম উভয়…' সন্তানকে নিয়ে মুখ খুললেন স্বরা
আরও পড়ুন-Exclusive Prosenjit: 'ইন্ডাস্ট্রি নই, আমি এখনও জ্যেষ্ঠপুত্র', বলছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়
এদিকে দিদি নম্বর ওয়ান-এর সঞ্চালনা ছাড়াও রচনা এখন শাড়ি ব্যবসায়ী। শাড়ি, জামাকাপড়, গয়নার ব্যবসার পর সম্প্রতি প্রসাধনী সংস্থা আনার কথাও জানিয়েছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, রচনা ব্যক্তিগত জীবনে বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান বলে জানা যায়, তাঁর আসল নাম ঝুমঝুম বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিনেতা সুখেন দাস তাঁর নাম রেখেছিলেন রচনা। ওড়িশা ছবিতে অভিনয়ের সময় রচনা সহ-অভিনেতা সিদ্ধান্ত মহাপাত্রকে বিয়ে করেছিলেন বলে শোনা যায়, তবে তাঁদের বিবাহ-বিচ্ছেদ হয়ে যায়। পরে প্রবাল বসু নামে এক ব্যক্তিকে ২০০৭ সালে বিয়ে করেন, তাঁদের একমাত্র সন্তান হল প্রণিল বসু। যদিও অভিনেত্রী এই বিয়েটিও ২০১৬ সালে ভেঙে যায়।