অকালেই চলে গেলেন জনপ্রিয় ইউটিউবার দেবরাজ প্য়াটেল। ছত্তিশগড়ের এই তরুণ সোশ্যাল মিডিয়া সেনসেশনের প্রাণ কাড়ল ভিডিয়ো তৈরির নেশা! রায়পুরে নতুন ভিডিয়ো শ্যুট করতে যাচ্ছিলেন দেবরাজ, সেইসময়ই ভয়ঙ্কর সড়ক দুর্ঘটনা কেড়ে নিল ২১ বছরের এই তরুণের প্রাণ। জানা যাচ্ছে, দেবরাজের বাইকে সজোরে ধাক্কা মারে একটি ট্রাক। মাথা-সহ শরীরের একাধিক অংশে চোট পান ‘দিল সে বুরা লাগতা হ্যায়’ মিম খ্যাত এই ইউটিউবার।
জানা গিয়েছে রায়পুরের লাভানডিহ-র কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন দেবরাজ। তাঁকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মহাসমুন্দ জেলার বাসিন্দা প্রয়াত দেবরাজ প্য়াটেল। তাঁর মৃত্যুর খবর জানান, ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেষ সিং বাঘেল। দেবরাজের পুরোনো ভিডিয়ো টুইটারে শেয়ার করে তিনি লেখেন, ‘দেবরাজ প্য়াটেল, যে কোটি কোটি মানুষের মনে নিজের জায়গা পাকা করে নিয়েছিল দিল সে বুরা লাগতা হ্যায় ভিডিয়ো দিয়ে, যে আমাদের সকলের মুখে হাসি ফুটিয়েছিল, আজ আমাদের ছেড়ে চলে গেল। এত অল্প বয়সে এই গুণী মানুষের মৃত্যু সত্যি দুর্ভাগ্যের। ভগবান ওর পরিবারকে শক্তি দিক এই কঠিন সময়ের সঙ্গে লড়াই করবার। ওম শান্তি'।
টুইটে দেবরাজের সঙ্গে নিজের একটি পুরোনো ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে এই তরুণ কমেডিয়ানকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘ছত্তিশগড়ে দু’জন মানুষই ফেমাস, একজন আমি আরেকজন আমার কাকা (ইশারা মুখ্য়মন্ত্রীর দিকে'। দেবরাজের কথা শুনে হাসি চাপতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী। সেই আনন্দের স্মৃতিই এদিন ফিরে দেখলেন ভুপেষ সিং বাঘেল।
ইউটিউবে দেবরাজের সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ৪ লক্ষাধিক, ইনস্টায় তাঁকে ফলো করেন প্রায় ৬০ হাজার মানুষ। মৃত্যুর মাত্র কয়েকঘন্টা আগে ইনস্টাগ্রামে একটি কমেডি ভিডিয়ো পোস্ট করেন দেবরাজ। সেখানে নিজেকে নিয়েই খিল্লি করেছেন দেবরাজ। আর অনুরাগীদের উদ্দেশে তাঁর প্রশ্ন ছিল, ‘বন্ধুরা বলো আমি কিউট কিনা?’
দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ইউটিউবার ভুবন বামের ওয়েব সিরিজ ‘ঢিন্ডোরা’তে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন দেবরাজ। সেখানেই তাঁর মুখে শোনা গিয়েছিল জনপ্রিয় সংলাপ-'দিল সে বুরা লাগতা হ্যায়…'। এরপর রাতারাতি চর্চায় উঠে আসে সে। জানা যায়, রায়পুরে বিবিএ নিয়ে পড়াশোনা করছিল দেবরাজ। তাঁর মৃত্যুর খবর এখনও মেনে নিয়ে পারছে না ফলোয়াররা। সোশ্যাল মিডিয়ায় শোকপ্রকাশ করে এক ভক্ত লিখেছে, ‘এই ভিডিয়োতে বলা বিদায়টাই শেষ বিদায় হবে দুঃস্বপ্নেও ভাবিনি, যেখানেই থেকো শান্তিতে থেকো’।