চলতি বছরের ৯ মার্চ বিয়ের পিঁড়িতে বসেন দুর্নিবার সাহা আর ঐন্দ্রিলা সেন। প্রসেজিতের জনসংযোগ আধিকারিক হিসেবে কাজ করেন ঐন্দ্রিলা ওরফে মোহর। দাঁড়িয়ে থেকে বিয়ে দিয়েছিলেন বুম্বাদাই। আর বিয়ের ৭ মাসের মাথায় দেন সুখবর।
১৫ অক্টোবর সোশ্যাল মিডিয়ায় মা হওয়ার ঘোষণা করেছিলেন মোহর সেন। লিখেছিলেন, ‘আমরা খুব উত্তেজিত জানাতে পেরে, আসছে ছোট্ট চমৎকার। এভাবে ঘুমিয়ে-ঘুমিয়ে আমরা ক্লান্ত। এমন একটা কাজ করছি যা আমরা অনেকদিন ধরেই চেয়ে এসেছি।’
বুধবার মাঝরাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় দুর্নিবার-পত্নী একটি পোস্ট ভাগ করে নিলেন ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে। আসলে রাত ৩টের সময়ও চোখে ঘুম নেই হবু মায়ের চোখে। সেটা নিয়েই এই পোস্ট। অন্তঃসত্ত্বাকালীন অবস্থায় অনেকেই নির্ঘুম রাত কাটান।
আরও পড়ুন: বিদেশিনীর প্রেমে প্রাক্তন প্রেমিক, চুপিচুপি বিয়ে পিঁড়িতে বসলেন জেসমিন? কে পাত্র
দুর্নিবারের দ্বিতীয় স্ত্রী মোহর। প্রথম বিয়ে হয় তাঁর ২০১৭ সালে। মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে আইনি বিয়ে করেছিলেন দুর্নিবার। তারপর থেকে একসঙ্গেই থাকতেন দুজনে। এরপর ২০২১ সালে বেশ ঘটা করে সামাজিক বিয়েটাও হয়। কিন্তু এই আনুষ্ঠানিক বিয়ের বছর ঘুরতে না ঘুরতেই দাম্পত্যে ধরে চিড়। প্রায় এক বছর প্রেম করার পর ২০২৩ সালের ৯ মার্চ দ্বিতীয়বার বসেন বিয়ের পিঁড়িতে। ভালোবাসার মানুষ ঐন্দ্রিলার গলাতে মালা দেন।
শোনা যায়, ২০২১-এর ডিসেম্বরে সামপ্লেস এলসে একটা শো শুনতে গিয়ে প্রথম আলাপ হয়েছিল মোহর আর দুর্নিবারের। মাস কয়েক যেতে না যেতে মোহরকে প্রেম প্রস্তাব দেন সারেগামাপা-খ্যাত গায়ক। সেই বছরের শুরুতেই বিয়ে ভেঙেছিল প্রথম স্ত্রী মীনাক্ষীর সঙ্গে।
আরও পড়ুন: ‘উনি যা ধরেন, সেটাই সোনা’! বিশ্বকাপ হারায় দায়ী ‘অপয়া’ মোদী, চটলেন কঙ্গনা
মোহর আর দুর্নিবারের বিয়ে হওয়ার পর কটাক্ষের বাণ ডেকেছিল সোশ্যাল মিডিয়াতে। এমন হয়েছিল যে, সোশ্যাল মিডিয়ায় একসঙ্গে ফোটো শেয়ার করাও এড়িয়ে চলেছিলেন তাঁরা। মোহর মিডিয়াকে জানিয়েছিলেন, ইচ্ছে থাকলেও ছবি দিতে পারেননি হানিমুনের। এমন নয় ভয় পান ট্রোলে, আসলে চাননি বিতর্ক আর বাড়ুক। নিজেদের পাশাপাশি, দুই পরিবারের কথা ভেবেই এমন সিদ্ধান্ত।
এইসময়কে হবু মা জানিয়েছিলেন, ‘আমরা দুজনেই জানতাম সন্তান চাই। ভাবলাম, দেরি করে লাভ নেই’। আগামী বছরের গোড়াতেই আসবে মোহর-দুর্নিবারের প্রথম সন্তান। অধীরে তারই অপেক্ষা করছেন হবু মা আর বাবা।