Modi-Kangana: ‘উনি যা ধরেন, সেটাই সোনা’! বিশ্বকাপ হারায় দায়ী ‘অপয়া’ মোদী, চটলেন কঙ্গনা

মোদীর প্রতি ভালোবাসা এর আগেও জাহির করেছেন কঙ্গনা। দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একাধিকবার দেখাও করেছেন। এবারই ‘প্রিয়’ মোদীকে অপয়া বলায় চটে হলেন আগুন।

মোদীকে অপয়া বলায় চটলেন কঙ্গনা। 

রবিবার ভারত বিশ্বকাপ ফাইনাল হেরে যায় অস্ট্রেলিয়ার কাছে। সেই ধাক্কা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারছে না একাংশ। ইতিমধ্যেই কেউ কেউ দোষারোপ করে ফেলেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। যিনি রবিবার খেলা দেখতে গিয়েছিলেন স্টেডিয়ামে। তারপর থেকেই শুরু হয়েছে বিরোধী পক্ষের ট্রোল। এদিকে মোদীর নামে এমন কুৎসা মানতে পারছেন না বিজেপি-ঘনিষ্ঠ অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত।

শুরুটা করেছিলেন কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী। দেশের প্রধানমন্ত্রীকে বলে দেন ‘পনোতি’। রাহুলকে বলতে শোনা যায়, ‘অপয়া… অপয়া…অপয়া। আমাদের ছেলেরা বিশ্বকাপের প্রতিটা ম্যাত জিতছিল। এই অপয়াটা এসে হারিয়ে দেয়।’

ফাইনালের ম্যাচের দিন টিম ইন্ডিয়াকে উৎসাহ দিতে স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন মোদী ও অমিত শাহ। ভারতের হারের পরে, মোদিকে ক্রিকেটারদের ড্রেসিংরুমের ভিতরে গিয়ে সকলকে সান্ত্বনা দিতেও দেখা যায়। মেন ইন ব্লুদের সঙ্গে তার আলাপচারিতার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে।

মোদীকে ‘অপয়া’ বলায় রেগ গিয়ে একটা লম্বা পোস্ট করেছেন কঙ্গনা রানাওয়াত। লেখেন, ‘যারা প্রধানমন্ত্রীকে অপয়ার মতো নামে ডাকছেন, তাঁদের জন্য আমার কিছু তথ্য। তিনি সেই বিরল রাজনৈতিক ব্যক্তি যিনি অপ্রতিরোধ্য। এমন একজন যিনি তাঁর পুরো জীবনে কখনও নির্বাচনে হারেননি। তিনি যা কিছু স্পর্শ করেন, তা সোনায় পরিণত হয়। তার শাসনে গুজরাট দ্রুত বর্ধনশীল রাজ্য হয়ে উঠেছে। এবং এখন তো ভারতের অর্থনীতি ৪ ট্রিলিয়ন ছুঁয়েছে। রাজনীতিতেও এই ধরনের অযৌক্তিক বদনাম করা উচিত নয়।’

নরেন্দ্র মোদী যতই সৌভাগ্য নিয়ে থাকুন না কেন, কঙ্গনার সময় কিন্তু একটুও ভালো যাচ্ছে না। শেষ বক্স অফিসে হিট পান বহু আগে। তারপর ফ্লপের পর ফ্লপ। এমনকী, দক্ষিণের সিনেমা চন্দ্রমুখী ২-তে অভিনয় করলেও, তা ব্যর্থই হয় 

পরবর্তীতে কঙ্গনাকে দেখা যাবে ‘এমার্জেন্সি’ ছবিতে। প্রথমে ধারণা ছিল বুঝি বা এটি হতে চলেছে ইন্দিরা গান্ধির বায়োপিক। পরে জানা যায়, ভারতের জরুরি অবস্থার উপর নির্মিত। কঙ্গনা শুধু এই ছবিতে অভিনয়ই করেননি, পরিচালক ও প্রযোজনার কুর্সিও সামলেছেন। কঙ্গনাই সকলকে জানিয়েছিলেন এমার্জেন্সি বানানোর টাকা জোগাড় করতে মুম্বইয়ে তাঁর নামে যত সম্পত্তি ছিল তাঁর বেশিরভাগই বন্ধক রেখেছেন।  তাই ছবি না চললে সর্বহারা হবেন।