টেলিভিশনের জগতে তাঁর জনপ্রিয়তা বিপুল! বলা যায়, এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশনের হার্টথ্রব নায়ক তিনি। ২৫-এর গণ্ডি পার করেননি। তবে ইতিমধ্যেই একাধিক মেগার মুখ তিনি। এই মুহূর্তে স্টার জলসার ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ ধারাবাহিকে দেখা মিলছে এই হ্যান্ডসামের। এই বছর দোলের পরিকল্পনা কী? কেমনভাবে কাটবে সারাদিন? হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে শোনালেন দিব্যজ্যোতি দত্ত।
রবিবার গভীর রাতে জিমে ব্যস্ত অভিনেতা। সে-সব সেরে ফোনে আড্ডা জমালেন, তখন প্রায় মধ্যরাত ছুঁইছুঁই। বললেন, ‘বাবা-মা আর বোনের সঙ্গে বাড়িতে একটু দোল খেলব সকালে। তারপর নাচের স্যারের বাড়ি দোল খেলা, সেখানে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নিমন্ত্রণ। ওখানেই থাকব সারাদিন’।
রঙ খেলতে দারুণ ভালোবাসেন দিব্যজ্যোতি। জানালেন, ‘আমার অন্যতম প্রিয় উৎসব দোল। ছোট থেকে যেখানে যেতাম বাঁদুড়ে রঙ খুঁজতাম। বেলুন মারতাম, আগামিকাল (আজ)ও বেলুনে রঙ ভরে ছুঁড়তে তৈরি পুরোদমে। দোলে ভয়ঙ্কর কোনও স্মৃতি নেই, প্রতি বছর দোলটা আমার খুব ভালো কাটে’। আরও পড়ুন-বিচ্ছেদ জল্পনা জারি, বাবা সিদ্দিকির ইফতারে একসঙ্গে সলমন-ইউলিয়া! আর কারা এলেন?
দিব্যজ্যোতির কাছে রঙের মাহাত্ম্য কী? হাসিমুখ বললেন, 'আমার কাছে রঙ মানে প্রেম। জীবনে রঙ না থাকলে দোলে যে যতই রঙিন রাঙিয়ে দিক, রঙ হবে না। মনে রঙ থাকাটা জরুরি। আমার মনের রঙ এখন লাল (হাসি) তবে সেটা কিন্তু ফোকাস বা টার্গেটের রঙ।' তরুণ অভিনেতার মনেও কি কেউ অনুরাগের ছোঁয়া দিল?
গত কয়ক মাস ধরেই সহ-অভিনেত্রী সৌমিলি চক্রবর্তীর সঙ্গে দিব্যজ্যোতির প্রেমের চর্চা তুঙ্গে। তবে তাকে ভুয়ো বলেই উড়িয়ে দিলেন নায়ক। জানালেন, ‘প্রেম তো ওরকমভাবে রঙ তো আসে না, যখন আসবে দেখা যাবে। আমরা একসঙ্গে ছবি পোস্ট করেছি, আমি যে কোনও মেয়ের সঙ্গে ছবি পোস্ট করলেই এইসব চর্চা শুরু হয়। সেগুলো সত্যি নয়, ভুলধারণা।’
মনেপ্রাণে কৃষ্ণ ভক্ত দিব্যজ্যোতি। জানালেন, ‘আমার খুব ইচ্ছে বৃন্দাবন গিয়ে দোল উৎসবের সাক্ষী থাকার। আমি ইস্কনে দোল কাটিয়েছি, অন্যরকম একটা অভিজ্ঞতা। ২০২১ সালে গিয়েছিলাম মায়াপুরে। ওখানে গিয়ে রঙ খেলেছি, ভবিষ্যতে নিশ্চয় বৃন্দাবন যাব।’
এমনিতে যতই জিম-পাগল হোন না কেন, দোলের দিন খাওয়া-দাওয়ায় কোনও বাধা নেই। জানিয়ে দিলেন, ‘ওরে বাবা! কাল ডায়েটের প্রশ্ন নেই। স্যারের বাড়ি মাটন হচ্ছে, কব্জি ডুবিয়ে খাব’।