যিশুর জন্মদিনে নক-আউট পর্বের ম্যাচে হারের মুখ দেখেছে বেঙ্গল টাইগার্স! তবে প্রথমবার সিসিএল-এর ফাইনালে যাওয়ার সোনালি হাতছানি এখনও রয়েছে বাংলার তারকাদের সামনে। শুক্রবারের ম্যাচে কিচ্চা সুদীপের কর্নাটক বুলডোজারের বিরুদ্ধে প্রথম এলিমিনেটরে ৮ উইকেটে পরাজিত হয়েছে যিশু সেনগুপ্তর নেতৃত্বাধীন বেঙ্গল টাইগার্সরা। আরও পড়ুন-জন্মদিনে জয় পেলেন না যিশু! CCL-র প্রথম কোয়ালিফায়ারে হারল বেঙ্গল টাইগার্সরা
শনিবার সন্ধ্যায় ফের একবার মাঠে নামছে যিশু-বাহিনী। তিরুবনন্তপুরমের মাঠে এবার বাংলার নায়কদের প্রতিপক্ষ গতবারের চ্যাম্পিয়ান দল মুম্বই হিরোস। সোহল খানের মালিকানাধীন দলকে হারাতে পারেই ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত হবে রাহুল-উদয়দের। চলতি সিজনেও বাংলার তুরুপের তাস অভিনেতা জ্যামি বন্দ্যোপাধ্যায়। মরণ-ম্যাচের আগে তিরুবনন্তপুরম থেকে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার মুখোমুখি জ্যামি। বললেন, ‘আজকের ম্যাচটা ডু অউর ডাই ম্যাচ। খুব জরুরি ম্যাচ। তবে আগের চেয়ে এনার্জি খানিকটা কম, পরপর দুই ম্যাচ খেলার ধকল তো রয়েছে। মোটিভ একটাই ম্যাচটা জিততেই হবে, তাহলে রবিবার ফাইনালে কর্নাটকের থেকে বদলা নিতে পারব’।
শুক্রবারের ম্যাচেও ঝোড়ো অর্ধ শতরান করেন জ্যামি। তবুও শেষরক্ষা হয়নি। কোথায় পিছিয়ে পড়ল বেঙ্গল টাইগার্স? অভিনেতা বললেন, ‘কালকে বোলিং-এ আমরা কিছুটা পিছিয়ে পড়েছিলাম। ১০-১০ ওভারের দুটো ইনিংস খেলা হয়। সেখানে একটা-দু’টো ওভার এদিক-ওদিক হলেই ম্যাচ ঘুরে যায়। আমরা দ্বিতীয় ইনিংসে বাউন্স ব্যাক করেছি। কিন্তু শেষ অবধি পারিনি। তবে সোয়ানে-সোয়ানে টক্কর হয়েছে।'
ক্যাপ্টেন যিশু সেনগুপ্তর জন্মদিনে দল জিততে না পারায় মন খারাপ গোটা টিমের। জ্যামি বললেন, ‘আমরা সবাই ভেবেছিলাম যিশুদাকে ম্যাচটা জিতে গিফট দেব। যিশুদার এবারের লক্ষ্যই হল কাপ। সেটা পূরণ করতে না পারা অবধি কারুর ঘুম নেই। যিশুদা প্রত্যেকটা ম্যাচ খেলতে নামার আগে কলারটা তুলে রাখে, আর বলে- এই কলারটা যেন নামে! সেটা তুলে রাখার দায়িত্ব আমাদের প্রত্যেক প্লেয়ারের। গতকাল সেটা হয়নি, তবে আজ সেই কলারের ইজ্জত আমাদের দিতে হবে। আর দুটো ম্যাচ জিতে কাপটা নিয়ে ফিরতে হবে’।
২০১০ সালে শুরু হয়েছিল সিসিএল। তবে ট্রফি অধরাই থেকেছে যিশুর। তবে এইবার এত কাছে এসে ট্রফি হাতছাড়া করতে না-রাজ সকলেই। বাংলার হয়ে সিসিএলে মাঠে দেখা যাচ্ছে অভিনেতা সৌরভ দাস, রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়, জয় মুখোপাধ্যায়, জয়ী দেবরায়, উদয় প্রতাপ সিং-দের।