একের পর এক সিরিয়াল বন্ধ হওয়া নিয়ে কী বললেন মাফিন
শুটিংয়ের ফাঁকে তখন বিরতি চলছে। আর কিছুপরেই সেদিনের মতো কাজ শেষ। এ যেন পড়ে পাওয়া ১৪ আনার মতো আনন্দের ব্যাপার। তারই মাঝে HT বাংলার মুখোমুখি হলেন মাফিন চক্রবর্তী।
মাফিন: ভীষণ ভালো। আর কিছুক্ষণ পর ছুটি। তাই আরও ভালো আছি। (হাসি)
মাফিন: ব্রেক কিন্তু আমি নিইনি। ৭ মাসের ছুটিকে কি ব্রেক নেওয়া বলে? জানি না। যখন রটে গিয়েছিল যে আমি নাকি কাজ করছি না, ব্রেক নিয়েছি, ইত্যাদি, প্রভৃতি আমি কিন্তু আদতেই কালার্সের একটি মেগায় কাজ করছি। মানে লোকজন কি কেবলই ওই দুটো চ্যানেল দেখবে? তার বাইরে কাজ করলে সেটা কেউ জানবে না?
মাফিন: দেখুন, বইতে পড়া আর চোখে দেখা দুটো আলাদা বিষয়। যেটা মানুষ চোখে দেখে না সেটার একটা আলাদা ইম্প্যাক্ট হয়। আজ যদি কিশোর কিশোরীরা বা যুবক যুবতীরাও যদি এটা দেখে তাঁরা দেখেই অনেক কিছু জানতে পারবেন। আমি মনে করি সাহিত্য নিয়ে কাজ করা উচিত। আরও বেশি করে কাজ করা উচিত। প্রথম সারির চ্যানেলে এমন কাজ হলে সেটা মানুষের কাছে আরও বেশি পৌঁছবে।
মাফিন: মায়ের চরিত্রে এতে আমি প্রথমবার কাজ করছি। আমি যখন এই কাজ শুরু করি তখন আমার বাচ্চারা ছোট। তারপরও গল্প লিপ নিয়ে এগিয়ে গিয়েছে। ছেলে মেয়েরা বড় হয়েছে। আগেও একবার এমন হয়েছিল জানেন। তখনও গল্প ১২ বছর লিপ নিয়েছিল। আমায় মা দেখাতে চেয়েছিল সেই সিরিয়ালে। আমি কাজটাই ছেড়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু আমারও তো বয়স হচ্ছে। মানসিকতা, সিদ্ধান্ত বদল হচ্ছে। তবে এটা সাহিত্য ভিত্তিক বলেই করছি। কিন্তু আজকাল...
মাফিন: আজকাল অনেক মডার্ন ধারাবাহিকে দেখা যায় অনেক বাচ্চা মেয়েরা মায়ের চরিত্রে অভিনয় করছে, কিন্তু কোনও বাচ্চা ছেলেকে বাবার চরিত্রে দেখা যায় না। কেন বলুন তো? সিরিয়াল কি আমাদের তবে আবার পিছিয়ে দিচ্ছে। আমরা কি আবার ৩০-৪০ দশকে পিছিয়ে যাচ্ছি?
একটা জরুরি প্রশ্ন তুললেন বটে মাফিন! কিন্তু যখন উনি সিরিয়ালের প্রসঙ্গে কথা তুললেন তো সেই বিষয়ে একটি প্রশ্ন করলাম তাঁকে।
অগ্নিপরীক্ষার সেটে মাফিন-ভেরোনিকা
মাফিন: এটা ভীষণ খারাপ একটা সময়। একটা ধারাবাহিককে সময় দেওয়া উচিত। দু তিন মাস চলল না, টিআরপি পেল না বলে সিরিয়াল বন্ধ করে দেবে? চ্যানেলের জানি না কিন্তু প্রযোজকদের অবশ্যই ক্ষতি হয়। তবে এটাও ঠিক গল্পের ধরন পাল্টানো উচিত। আবার অন্য একটা দিকও আছে।
মাফিন: দর্শকরাই কিন্তু ২-৩ টে বিয়ে দেখতে চান। আপনি সাধারণ প্লটের দুর্দান্ত একটি গল্প পেশ করুন দর্শক কিন্তু দেখবে না। টিআরপি পাবে না। আর চ্যানেলও তো দিন শেষে ব্যবসা করতে এসেছে।
মাফিন: পনের বছরের বেশি।
মাফিন: আমি ছোট থেকেই নাচ করি। আমার নাচের একটি স্কুল আছে। ফলে একটা ইচ্ছে তো ছিলই। এরপর ২০০৫ সালে মিস ক্যালকাটা হই। তখন মডেলিং করার ইচ্ছে ছিল। এরপরই কাজের সুযোগ আসে।
মাফিন: লোককে রোগা করি, আমি যদি নিজেকে ফিট না রাখি সবাই আমায় মানবে কেন?
অগ্নিপরীক্ষায় মাফিন
মাফিন: নাচের শিক্ষাগুরু বা বিমান সেবিকা। আমার দাদা তো ক্ষ্যাপাতো, বলতো তুই যখন বিমান সেবিকাই হবি তাহলে বাড়ির কাজ কর। (হাসি)
মাফিন: তাঁকে সময় দেওয়া। যে কাছে আছে সে যে সম্পর্কের হোক তাঁকে সময় দেওয়া। কেউ পাশে বসে আর আমি ফোনে ডুবে এটা পছন্দ নয়। কেউ সঙ্গে থাকলে জমিয়ে আড্ডা হলে আমি ফোনের দিকে ঘুরে তাকাই না।
মাফিন: আমি বরাবরই বেছে কাজ করি। কম কাজ করি। সিরিজে কাজ করার ইচ্ছে আছে। এখনও হয়ে ওঠেনি। দেখি। জীবনের গতি যেদিকে নিয়ে যাবে সেদিকেই বইব।