টলিউড থেকে বলিউড, সর্বত্রই এখন চর্চিত নাম প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তবে এই মুহূর্তে তিনি আলোচিত তাঁর ‘প্রবীর রায়চৌধুরী’ চরিত্রটির কারণে। ফের একবার বড়পর্দায় প্রবীর হয়ে ফিরছেন প্রসেনজিৎ, সৌজন্যে সজিত মুখোপাধ্যায়ের ছবি ‘দশম অবতার’। সেই ছবি নিয়েই হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন টলিপাড়ার ‘বুম্বাদা’, খোদ ‘ইন্ডাস্ট্রি’। থুড়ি, প্রসেনজিৎ নিজে অবশ্য তিনিই ‘ইন্ডাস্ট্রি’ কথাটা মানতে নারাজ। প্রসেনজিতের কথায়, ‘আমি ইন্ডাস্ট্রি নই, আমি এই ইন্ডাস্ট্রির জ্যেষ্ঠপুত্র।’
তবে ইন্ডাস্ট্রি না হলেও অভিনয় দুনিয়ায় তিনি যে অন্যতম বড় নাম, সেকথা তো অস্বীকার করার জায়গা নেই। নিজে এটা উচ্চতায় থেকে একমাত্র ছেলে তৃষাণজিৎ চট্টোপাধ্যায় ওরফে মিশুককে ঠিক কোন জায়গায় দেখতে চান ‘বুম্বাদা’? একথা হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে নিজেই জানিয়েছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। ছেলেকে নিয়ে ঠিক কী বলেছেন তিনি।
আরও পড়ুন-আরও পড়ুন-যিশুর সঙ্গে মনোমালিন্য, শুভশ্রীর বদলে কেন জয়া? মুখ খুললেন সৃজিত
আরও পড়ুন-'ইন্ডাস্ট্রি নই, আমি এখনও জ্যেষ্ঠপুত্র', বলছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়
আরও পড়ুন- একজন ৫৭ অন্যজন ৬১, তবে বোঝার উপায় কই, ‘প্রসেনজিৎই টলিপাড়ার শাহরুখ’! কী বলছেন ‘বুম্বাদা’
প্রসেনজিৎ-এর কথায়, ‘ও (তৃষাণজিৎ) যেটাই করবে, সেটাই যেন নম্বর ওয়ান হয়। ওঁর যা ইচ্ছা সেটাই করুক। আসলে এই বয়সটা-ই তো খুব চঞ্চল।’ প্রসেনজিৎ জানান, ‘ও (তৃষাণজিৎ) খেলে দারুণ, ক্যাপ্টেন। ফুটবলও ভালো খেলে, এখন আবার শেক্সপিয়ার নাটকও করছে। আবার মাঝে মাঝেই দেখছি, ফোন নিয়ে ছোট ছোট ছবি বানাচ্ছে। ও কী করবে, তাই ও নিজেই ঠিক করুক। আমরা ওর পাশে আছি। তবে আমি ওকে এটা বলে দিয়েছি সিনেমা করলে আমি কিন্তু প্রডিউস করব না, তৈরি করে দেব। তারপর লড়াই করতে হবে। কারণ আমাকে কেউ করে দেননি। নিজেই নিজের জায়গা তৈরি করতে হয়েছে।’
সাক্ষাৎকারে 'জওয়ান' ছবিতে বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের (প্রসেনজিতের বাবা) ছবির গান ‘বেকরার করকে হামে’ ব্যবহার প্রসঙ্গেও ওঠে আসে তৃষাণজিতের কথায়। প্রসেনজিৎ জানান, 'এতে আমি তো খুশি, তবে আমার থেকেও বেশি এক্সাইটেড আমার ছেলে।'
তৃষাণজিৎতে পুজোতে উপহার দেওয়া প্রসঙ্গে প্রসেনজিৎ বলেন, 'ওকে তো সারাবছরই উপহার দি। তবে ওদের পছন্দের সঙ্গে না আমাদের পছন্দ মেলে না (হাত জোড় করে মাথায় ঠেকিয়ে)। কথা প্রসঙ্গে বুম্বাদা বলেন, এখন তো বাবা-ছেলের সাইজ এক হয়ে গিয়েছে, হয়ত আমি একটা টি-শার্ট কিনলাম, তারপর দেখছি সেটা পাচ্ছি না। জিগ্গেস করে জানলাম, এটা ছেলে নিয়ে চলে গেছে। এই তো হয় (হাসি)।