বিয়ের পর প্রথম সরস্বতী পুজো সৌরভ দাস আর দর্শনা বণিকের। তবে এবারের পুজো বিশেষ স্পেশাল, কারণ দেবীর পুজোর সঙ্গেই পড়েছে ভ্যালেন্টাইন্স ডে। তবে এই বিশেষ দিনটা আলাদা আলাদাই কাটাচ্ছেন তাঁরা। সৌরভের ইনস্টা স্টোরিই দিয়ে গিয়েছিল তাঁর ঝলক। দেখা গিয়েছিল দুজনের ভিডিয়ো কল চলছে। হলুদ শাড়ি পরে আছেন দর্শনা, সঙ্গে সাদা রঙের ব্লাউজ। নাচ করছেন অভিনেত্রী। বিছানায় শুয়েই সোজা ফোন লাগিয়েছেন বউকে সৌরভ। ভিডিয়োর ক্যাপশনে লিখলেন, ‘হ্যাপি ভ্যালেন্টাইন্স ডে লাভ’।
হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার তরফ থেকে ফোন গেলে সৌরভ জানালেন, দর্শনা কাজের জন্য বাইরে। তবে ফিরবেন দিন দুই পরেই। আর ফিরে এলেই দুজনে মিলে যাবেন ডেটে। তবে বরকে উপহার পাঠিয়েছেন দর্শনা দূরে থেকেই। দিয়েছেন গোলাপ ফুল আর চকোলেট।
আরও পড়ুন: সাদা ধুতি-পাঞ্জাবিতে অঞ্জলি, মা সরস্বতীর ভোগে সবচেয়ে কী পছন্দ ছিল উত্তম কুমারের?
ছোটবেলা কেমন কাটত সরস্বতী পুজো সৌরভের? অভিনেতা জানালেন, মূলত দিনটা কাটত পাড়ার বন্ধুদের সঙ্গেই। তবে একবার এক বান্ধবীর বাড়ি খুঁজতে বেরিয়েছিলেন। স্কুলে পড়তেন একসঙ্গে। কখনও মুখে শুনেছিলেন বাড়ির ঠিকানায় ‘ফিলিপ্স’ কথাটি। সৌরভের তরফে একটা ভালোলাগা ছিল। বান্ধবী শর্ত রেখেছিলেন বাড়ি খুঁজে বের করার। এক সরস্বতী পুজোর দিন বাসে করে নেমে গিয়েছিলেন ফিলিপ্স মোড়ে।
আরও পড়ুন: বয়স হল ১০ দিন! ছেলের প্রথম ছবি দিলেন মোহর, খুদে কোলে উঠেছে বাবা দুর্নিবারের
তারপর গলি গলি ঢুকে শুরু করেছিলেন সেই বান্ধবীর বাড়ি খোঁজা। ভাগ্য করে হঠাৎই একটি গলিতে দেখেন দাঁড়িয়ে আছে সেই বান্ধবীদের গাড়ি। চিনতে পেরেছিলেন নম্বর প্লেট দেখে। দারোয়ানকে জিজ্ঞেস করে নিশ্চিত হয়েছিলেন, সেটাই ওই বান্ধবীর বাড়ি। সেই মেয়েটিও অবাক হয়েছিলেন সামনে সৌরভকে দেখে। তবে এরপর গল্প অবশ্য বেশিদূর আর এগোয়নি।
আরও পড়ুন: ফোটো তুললেই ‘খিটখিট’, ১৫৭৮ কোটির সম্পত্তি জয়া-অমিতাভের! হিসেব দিলেন অভিষেকের মা
নভেম্বরের শেষে সোজা বিয়ের ঘোষণা দিয়ে সকলকে চমকে দিয়েছিলেন সৌরভ-দর্শনা। তাঁদের প্রেম নিয়ে জল্পনা একটা ছিলই, তবে তাতে শিলমোহর দেননি কেউ কখনোই। ১৫ ডিসেম্বর সাত পাকে বাঁধা পড়েন সৌরভ-দর্শনা। জাঁকজমক করে সাত পাক ঘুরেছেন টলিউডের এই নব্য বিবাহিত জুটি। তারকাদের উপস্থিতিতে ঝলমল করে উঠেছিল গোটা অনুষ্ঠান। গায়ে হলুদ থেকে সিঁদুর দান, হুড খোলা গাড়িতে করে দর্শনার শ্বশুর বাড়িতে আসা, সবই মন কেড়েছিল নেটপাড়ার। বিয়ের পর দুজনেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কাজে। এখনও বাকি রয়ে গিয়েছে হানিমুনটা।