রাজ্যে লকডাউনের মেয়াদ আরও ১৫ দিন বাড়ানো হয়েছে। যার অর্থ আরও ১৫ দিন বন্ধ থাকবে শ্যুটিং। মানে সমস্যা বাড়তে চলেছে টেকনিশিয়ান ও জুনিয়ার আর্টিস্টদের। আপাতত বেশকিছু ধারাবাহিকের শ্যুটিং হচ্ছে বাড়ি থেকেই। বাড়িতে বসেই লাইত-ক্যামেরা সেট করে শ্যুট করছেন অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। বাড়িতে বসেই তাঁদের নির্দেশ দিচ্ছেন পরিচালকরা। আর তারপর তা এডিট করে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে চ্যানেলের কাছে। কিন্তু বাড়ি বসে কাজ হলে টেকনিশিয়ান ও মেকআপ আর্টিস্টদের কাজ সেই বন্ধই থাকছে। হচ্ছে না রোজগারও।
যদিও ফেডারেশনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাসের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই চিঠি গিয়েছে প্রযোজকদের কাছে। জানতে চাওয়া হচ্ছে, ফেডারেশনের অনুমতি ও আলোচনা ছাড়া কেন তাঁরা বাড়ি থেকে শ্যুটিং করছেন। চিঠি গিয়েছে 'কৃষ্ণকলি', 'রাণী রাসমণি' আর 'বরণ' ধারাবাহিকের নির্মাতাদের কাছে। অর্থাৎ চিঠি পেয়েছেন সুশান্ত দাস, স্নেহাশিস চক্রবর্তীর মতো প্রযোজকরা।
সুশান্ত দাস প্রযোজিত ‘কৃষ্ণকলি’ আপাতত শ্যুট ফ্রম হোম হচ্ছে। সাংবাদিকদের সুশান্ত দাস জানান, তিনি এখনও সে চিঠি হাতে পাননি। তাঁর বক্তব্য, বাড়িতে বসেই নতুন এপিসোড তৈরি করা গেলে অন্তত ইন্ডাস্ট্রি বাঁচবে। প্রযোজক টাকা না পেলে অভিনেতা বা টেকনিশিয়ানদের কীভাবে টাকা দেবে? ফেডারেশনও তো আলোচনা করতে পারে আমাদের সঙ্গে এই পরিস্থিতিতে কীভাবে শ্যুটিংয়ে টেকনিশিয়ানদের নেওয়া যায়। শহর থেকে বাইরে গিয়ে বায়ো বাবেল তৈরি করেও তো কাজ করা যায়! আমরা সেটাও ভেবেছি। প্রযোজকরা শ্যুটিং করতে না পারলে, যাঁদের সঙ্গে চুক্তি রয়েছে, তাঁদের মাস মাইনে কোথা থেকে দেবে? শ্যুটিং ফ্লোরের ভাড়াও তো আমাদের দিতে হয়। সেই টাকাই বা কোথায় পাব?
লেখিকা লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ও শ্যুট ফ্রম হোমের পক্ষে। এই সময়কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান, ‘যদি বাধা-নিষেধ অমান্য না করে, বাড়ি থেকে আমরা কাজ করতে পারি, সেখানে কারও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। গত বছর যখন তিন মাস কাজ হয়নি, তখনও টেকনিশিয়ানদের পারিশ্রমিক দিতে উদ্যোগী হয়েছিল প্রযোজক এবং চ্যানেল কর্তৃপক্ষ। এবারও এপিসোড তৈরি হলে, টেকনিশিয়ানরা তাঁদের প্রাপ্য পারিশ্রমিক পাবেন।’ তিনি মনে করেন গোটা বিশ্ব বাড়িতে বসে কাজ করতে পারলে শ্যুটিং কেন সম্ভব নয়! পরিস্থিতি অনুযায়ী চলতে পারলে তা সকলের জন্য মঙ্গল হবে।