২০০০ সালে ছোটপর্দায় শুরু হয়েছিল প্রথম রিয়েলিটি কুইজ শো 'কৌন বনেগা ক্রোড়পতি'।বাকিটুকু ইতিহাস। প্রথম সিজনে এক কোটি টাকা ঝুলিতে ভরতে পেরেছিলেন মাত্র একজন ব্যক্তি। হর্ষবর্ধন নাওয়াঠে। রাতারাতি তারকার পর্যায়ে পৌঁছে গেছিলেন সেই যুবক। আসমুদ্রহিমাচল ভারতবাসীর কাছে সব কৌতূহল জমা হয়েছিল তাঁকে ঘিরেই।
সম্প্রতি দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হর্ষবর্ধন জানিয়েছেন কেবিসি শো থেকে প্রথম এক কোটি টাকা জেতার পরমুহূর্তে থেকেই কীভাবে সংবাদপত্রের 'পেজ থ্রি'-তে জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি। প্রায় প্রতিদিনই সংবাদপত্র কিংবা ট্যাবলয়েডের ওই অংশে তাঁর সম্পর্কিত খবর ও ছবি ধরাবাঁধা থাকত। পাশাপাশি সেই সময় সেলফি বলে কোনও বস্তুর আবিষ্কার হয়নি। ফলে সেই সময় হাজার হাজার অটোগ্রাফও বিলিয়েছেন তিনি। কিন্তু সবসময় যে ফ্যানদের সঙ্গে দারুণ অভিজ্ঞতার শরিক হয়েছেন তিনি, এমন ভাবাটাও ভুল হবে। কেন ভুল? নিজেই জানিয়েছেন সে কথা।
একবার এক অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছেন তিনি। শো শেষে যখন মঞ্চ থেকে নামবেন সেই সময় তাঁকে ছেঁকে ধরে অনুরাগীর দোল। সবাই একটিবার ছুঁতে চায় তাঁকে। হাত মেলাতেও। তিনিও হাসিমুখে হাত মিলিয়ে যাচ্ছিলেন অবিরামভাবে। ক্রমশ বাড়তে থাকে ভিড়ের চাপ। এমন সময় হঠাৎ তিনি খেয়াল করেন তাঁর হাতের তালু ভিজে গেছে। বেশ চপচপ করছে ভিজে। অস্বস্তি হওয়াতে হাত সরিয়ে এনে দেখেন রক্তে ভর্তি তাঁর হাত। বুঝতে পারেন ভিড়ের মধ্যে থেকে হাত মেলানোর আছিলায় কেউ ধারালো ব্লেড দিয়ে তাঁর হাত চিরে দিয়েছে! জনতার কোলাহল, উন্মাদনায় সেইমুহূর্তে বুঝতে পারেননি তিনি। তবে এরকম ছুটকো ছাতক দু'একটি ঘটনা ছাড়া বাকি সব অভিজ্ঞতাই তাঁর কাছে বেশ আনন্দের বলেই জানিয়েছিলেন কেবিসি-র প্রথম সিজনের এই নায়ক।
বিশেষ করে এই ঘটনার পর তাঁর সঙ্গে যখন শিবসেনা দলের প্রতিষ্ঠাতা ও দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা বালাসাহেব ঠাকরের দেখা হয়, হর্ষবর্ধনকে তিনি এক উপায় বাতলেছিলেন। হাত কাটার ঘটনার খুঁটিনাটি জানতে পেরে বালাসাহেবের পরামর্শ ছিল, 'এবার থেকে আর হাত মেলাবে না। বুকের সামনে দু'হাত জড়ো করে নমস্কার করবে!'। অক্ষরে অক্ষরে সেকথা পালন করেছিলেন হর্ষরবর্ধন।