সিংহ রায় পরিবারের তিন জুটির মধুচন্দ্রিমা পর্ব যে এতটা বর্ণিল হবে, তা বোধ হয় কেউ স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি। সমুদ্র সৈকতে দিব্যি প্রেমের গল্প লেখা চলছিল। কিন্তু সেই সুখ ক্ষণস্থায়ী। প্রসূনের প্রতিশোধ স্পৃহা নিমেষেই এলোমেলো করে দিল সব হিসেব।
প্রসূনের নির্দেশে ঋদ্ধি-খড়ির সম্পর্কে নানা সমস্যা সৃষ্টি করে অনিকেত। কখনও খড়ির জন্য জলে ঝাঁপ দিয়ে, কখনও আবার তার আঁকার সরঞ্জাম কিনে এনে ঋদ্ধির মনে সন্দেহ জাগায় সে। এর পর আরও এক ধাপ এগিয়ে খড়ির ঘরে গিয়ে পৌঁছয়। অসময়ে স্বামীর অধস্তনের আগমনে অস্বস্তিতে খড়িও। রাখঢাক না করে নিজের অস্বস্তির কথা সে জানিয়ে দেয়।
নিছক বন্ধুত্বের খাতিরেই কি অনিকেতের বারবার ছুটে আসা? নাকি এই বন্ধুত্বের নেপথ্যে রয়েছে কোনও অসাধু উদ্দেশ্য, ষড়যন্ত্র? প্রশ্ন জাগে খড়ির মনে। ভিড় করে আসে নানা ভাবনা। অন্যমনস্ক হয়ে হোঁচট খায় সে। তাকে সামলে নেয় অনিকেত। আর ঠিক সেই মুহূর্তেই ঘরে আসে ঋদ্ধি। অনিকেতকে স্ত্রীর সঙ্গে দেখে রাগের পারদ চড়ে তার। অধস্তনের কোনও কথা না শুনেই তাকে চাকরি থেকে বহিস্কৃত করে সে।
(আরও পড়ুন: ঋদ্ধি-খড়ির মাঝে তৃতীয় ব্যক্তির আগমন! কী ঘটতে চলেছে 'গাঁটছড়া'র নতুন পর্বে)
খড়ি ভেবেছিল, প্রত্যেক বারের মতোই তাকে ভুল বুঝবে ঋদ্ধি। কাঠগড়ায় তুলে অপমান করবে। কিন্তু তেমন কিছুই হল না। ঋদ্ধিও অনিকেতের অসাধু উদ্দেশ্য আঁচ করতে পারছে। খড়ির সঙ্গে তার সম্পর্কে ফাটল ধরাতেই যে গোপালপুরে অনিকেতের আগমন, তা সে ভালোই বুঝতে পারছে।
অন্য দিকে, স্ত্রীর কাছে ধরা পড়ে যায় রাহুল। প্রেমিকার সঙ্গে তাকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় ধরে ফেলে দ্যুতি। আরও একবার ফাঁস হয় তার স্বামীর আসল চেহারা।
(আরও পড়ুন: প্রতিশোধ নিতে খড়িকে জলে ফেলে দেয় রাহুল! এর পর যা হয়...)
বোনের কাছে ছুটে আসে বিধ্বস্ত দ্যুতি। রাহুলের বিরুদ্ধে যাবতীয় রাগ-ক্ষোভ উগরে দেয় তার কাছে। আর তখনই এসে হাজির হয় বনি। সে একা আসে না। ধরে আনে প্রসূনকেও।
পিসেমশাইকে সেখানে দেখে অবাক সকলেই। তার কল্যাণেই যে এত কাণ্ড, তা আর বুঝতে বাকি থাকে না।
ভুল বোঝাবুঝি অতীত। খড়ির সঙ্গে নতুন জীবন শুরু করতে চায় ঋদ্ধি। কিন্তু সেই সুযোগ কি সে পাবে? এখন সেটাই দেখার।