কোভিড পরবর্তী সময়ে বেশ কয়েক বছরের খরা কাটিয়ে অবশেষে লড়াইয়ে ফিরেছে বলিউডের হিন্দি ছবি। শাহরুখের' পাঠান' দিয়ে সাফল্যের মুখ দেখে বলিউড। তারপর বেশ কয়েকটি ছবি কমবেশি ব্যবসা করার পর ক রণের রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানিও বেশ ভালো ব্যবসা করেছে। তারপর গদর ২ সাফল্যের কথা আর নতুন করে কিছু বলার নেই। গদর২ শুধুমাত্র দেশীয় বক্স অফিসে প্রায় ৪০০ কোটি টাকার ব্যবসা করে ফেলেছে। সম্প্রতি সানির গদর নিয়ে মুখ খুললেন করণ জোহর।
দীর্ঘদিন বলিউডে খরার কারণে হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কে যে নানান সমালোচনা শোনা যাচ্ছিল, সেবিষয়ে মুখ খুলেছেন করণ। তিনি বলেন, ‘যে যাই বলুন না কেন আমার কখনওই মনে হয়নি যে বলিউড যা করছে তাতে কোনও সমস্যা রয়েছে। আমাদের অতীতে বছরগুলি খারাপ ছিল। আমরা প্রায় ২-১ বছর টানা খারাপ সময় কাটিয়েছি। এর মানে এই নয়, ‘বয়কট বলিউড’, ‘বলিউডের লোকজন শেষ হয়ে গিয়েছেন’, ‘দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি সবটা দখল করছে’, 'দক্ষিণ মহান. ওরা যা করছে সবই বিস্ময়কর' এমনটা নয়।
আরও পড়ুন-‘মুম্বইয়ের লোকজন ভীষণ…’ সানি দেওলের সঙ্গে কাজ সেরে ফেরা তনুশ্রীর অভিজ্ঞতা কেমন
পসঙ্গত 'বাহুবলী: দ্য কনক্লুশন' ছবিটি দক্ষিণ ছাড়াও উত্তর এবং দেশের অন্যান্য প্রান্তেও ভালো ব্যবসা করার জন্য খানিকটা নিজেকেই ক্রেডিট দেন করণ। করণ, বাহুবলী-২ এর ডিস্ট্রিবিউশনের দায়িত্বে তিনিই ছিলেন।
করণ বলেন, ‘আমিই প্রথম হৃদয়ের সমস্ত শ্রদ্ধা নিয়ে রাজামৌলি স্যারের কাছে গিয়েছিলাম এবং বাহুবলীকে উপস্থাপন করতে চেয়েছিলাম। আমি দক্ষিণের কাজে মুগ্ধ। তামিল, তেলেগু, কন্নড় এবং মালয়লম,এই চার ভাষার দর্শকরা বিভিন্ন ধরণের সিনেমা তৈরি করে দর্শকদের প্রত্যাশা পূরণ করেছে এবং এটি অত্যন্ত দৃঢ় বিশ্বাসের সঙ্গেই করেছে। তাই দক্ষিণের প্রতি আমার অনেক শ্রদ্ধা আছে। তবে পাশাপাশি আমাদের (হিন্দি) সিনেমার গল্পকারদের প্রতিও আমার একইভাবে শ্রদ্ধা রয়েছে।’
গদর 2-এর সাফল্য এবং সিঙ্গল স্ক্রিনগুলোতে দর্শকদের ফিরে আসার বিষয়েও কথা বলেছেন করণ। করণের কথায়, ‘গদর সবার মন কেড়েছে কারণ এটি একটি ছবি যা ২০০১ সালেও ব্যাপকভাবে সফল হয়েছিল। আর এখন ২০২৩ সালেও এটি সমস্ত রেকর্ড ভঙ্গে দিয়েছে। আমি সিঙ্গল স্ক্রিনের প্রত্যাবর্তনের জন্য খুব খুশি।’
সানি দেওলের ফোন হাতে পেলে কাকে মেসেজ করবেন?এমন কথায় মজা করে করণ বলেন ‘ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সবাইকে তিনি বার্তা দেবেন, বলবেন দেখুন এটা এভাবে কাজ করেছে।’