রবিবার সকালটা এমনিতেই মেঘলা। সেই মেঘ কাটেনি বিকেলে এসেও। তার মধ্যে আরও একটু নস্টালজিয়া উসকে দিয়ে চলচ্চিত্র-প্রেমীদের চোখে জল এনে দিল গুগল। মনে পড়িয়ে দিল ভারতীয় সিনেমার অন্যতম সেরা সুন্দরী, নৃত্যশিল্পী এবং অভিনেত্রীকে।
সকাল থেকেই সোশ্যাল মিডিয়া ভরে গিয়েছে নস্টালজিয়ায়। গুগলের বিশেষ ডুডল শ্রীদেবীকে নিয়ে। কিন্তু আজ শ্রীদেবীকে স্মরণ কেন? কারণ আজ তাঁর ৬০তম জন্মবার্ষিকী। তামিলনাড়ুতে এই ১৩ অগস্ট ১৯৬৩ সালে তাঁর জন্ম।
শ্রীদেবী চার বছর বয়সে তাঁর চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন। শোনা যায়, তিনি ছোটবেলায় সিনেমার প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন। চার বছর বয়সে তামিল সিনেমা ‘কান্ধন করুনাই’তে অভিনয় শুরু করেছিলেন। শ্রীদেবী একাধিক দক্ষিণ ভারতীয় ভাষায় কথা বলতে শিখেছিলেন, যা তাঁকে ভারতের অন্যান্য ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে সাহায্য করে।
(আরও পড়ুন: জলে ডুবে মারা যাওয়ার আগে এটাই শ্রীদেবীর শেষ ছবি! শেয়ার করলেন স্বামী বনি কাপুর)
মুম্বইয়ের শিল্পী ভূমিকা মুখোপাধ্যায় এই ডুডলটি এঁকেছেন বলে জানানো হয়েছে Google-এর তরফে। ডুডলটির হরফ, তার রং দিয়ে ভারতীয় সিনেমার দর্শন ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। আর তার মাঝে স্থান পেয়েছেন শ্রীদেবী। নাচের ভঙ্গিমায় তাঁকে দেখা গিয়েছে এই ছবিতে।
দক্ষিণ ভারতের ছবি থেকে কাজ শুরু করার পরে এক সময়ে তিনি বলিউডে চলে যান। তার পরে সারা ভারতে ছড়িয়ে পড়ে তাঁর নাম। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী একসময়ে ছিল অভিনেত্রীর ভক্ত।
১৯৮৭ সালে শ্রীদেবী ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ ছবিতে সাংবাদিকের চরিত্রে অভিনয় করেন। এটি তাঁর কেরিয়ারের অন্যতম সেরা কাজ। শেখর কাপুর পরিচালিত চলচ্চিত্রটি সে বছরের অন্যতম সফল চলচ্চিত্র হয়েছিল। হিন্দুস্তান টাইমসের 'হিন্দি চলচ্চিত্রের সেরা ১০ দেশাত্মবোধক ছবি’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয় এটি। এই চলচ্চিত্রের ‘হাওয়া হাওয়াই’ গানের নৃত্যটিকে শ্রীদেবীর অন্যতম স্মরণীয় নাচ বলে মনে করা হয়।
এক সময়ে অভিনয় জগত থেকে কিছুটা দূরে চলে গিয়েছিলেন তিনি। পরে যখন ফিরে আসেন, তখন আবার সফল হন।
২০১৮ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ের জুমেইরাহ এমিরেটস টাওয়ারের বাথরুমের বাথটাবে তাঁখে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। মনে করা হয়, সেখানে দমবন্ধ হয়ে মারা যান তিনি। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি একটি দুর্ঘটনা। তার সঙ্গে সঙ্গেই শেষ হয় ভারতীয় চলচ্চিত্রের এক উজ্জ্বল অধ্যায়। সেই অধ্যায়কেই আজ ফিরে দেখল গুগল।