আরও বিতর্কের জালে জড়াল ধর্মা প্রোডাকশন্স-এর সাম্প্রতিক রিলিজ, গুঞ্জন সাক্সেনা: দ্য কার্গিল গার্ল। ছবিতে সত্যের অপলাপ ঘটানো হয়েছে বলে দাবি করলেন বাস্তবের গুঞ্জন সাক্সেনার সহকর্মী কেরালার বায়ুসেনা অফিসার শ্রীবিদ্যা রাজন।
উধমপুরে বায়ুসেনার ঘাঁটিতে গুঞ্জনের সঙ্গেই পোস্টিং পাওয়া শ্রীবিদ্যার অভিযোগ, বিষয়টি ছবিতে দেখানো হয়নি। সম্প্রতি ফেসবুক পোস্টে তিনি তাঁর অসন্তোষের কথা জানিয়েছেন। উধমপুর বায়ুসেনা ঘাঁটিতে একমাত্র মহিলা অফিসার হিসেবে গুঞ্জনকে দেখানোর জন্য ধর্মা প্রোডাকশন্স-কে একহাত নিয়েছেন আইএএফ অফিসার।
শ্রীবিদ্যা জানিয়েছেন, ‘১৯৯৬ সালে আমাদের দুজনকেই উধমপুরে পোস্ট করা হয়েছিল। কিন্তু ছবিতে দেখানো হয়েছে, ইউনিটের একমাত্র মহিলা অফিসার ছিলেন গুঞ্জন। ওই হেলিকপ্টার ইউনিটে যে হেতু আমরাই প্রথম দুই মহিলা পাইলট ছিলাম, সেই কারণে পুরুষ-শাসিত বৈমানিক জগতে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা সম্পর্কে আমরা অনিশ্চিত ছিলাম।’
তবে শ্রীবিদ্যা রাজন জানিয়েছেন, ইউনিটের অধিকাংশ পুরুষ সহকর্মী তাঁদের সমর্থন জানিয়েছিলেন ও সহায়তা করেছিলেন। ছবিতে অবশ্য ঠিক তার উলটো ঘটনা দেখানো হয়েছে বলে দাবি শ্রীবিদ্যার। রুপোলি পর্দার গুঞ্জনের বিরুদ্ধে একজন ছাড়া ইউনিটের সব অফিসারের অসমর্থনসূচক আচরণ দেখানো হয়েছে। পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে একা লড়তে দেখা গিয়েছে সিনেমার গুঞ্জনকে।
শুধু তাই নয়, শ্রীবিদ্যার অভিযোগ কার্গিলের আকাশে শুধুমাত্র গুঞ্জন সাক্সেনাকেই উড়তে দেখা গিয়েছে। এই ঘটনা সত্যি নয় বলে তিনি জানিয়েছেন, ‘আমরা দুজনেই উধমপুরে পোস্টেড ছিলাম এবং যখন কার্গিল সংঘাত শুরু হল, তখন শ্রীনগরের বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে প্রথম মহিলা পাইলট হিসেবে পুরুষ সহকর্মীদের সহ্গে আমাকেই কার্গিলে আগে পাঠানো হয়। গুঞ্জন শ্রীনগরে আসার আগেই আমি সংঘর্ষক্ষেত্রে আমি একাধিক অভিযানে অংশগ্রহণ করেছি। কয়েক দিন অভিযানে ওড়ার পরে পরবর্তী দলের সঙ্গে শ্রীনগরে গুঞ্জন এসে পৌঁছয়। আহতদের অপসারণ, রসদ পৌঁছে দেওয়া, যোগাযোগ রক্ষা ইত্যাদির মতো একাধিক অভিযানে আমরা সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছি। ছবির অন্তিম দৃশ্যে মুখ্য চরিত্রকে যে সমস্ত বীরত্বসূচক কাণ্ডকারখানা করতে দেখা গিয়েছে, সেগুলো হয়তো সিনেমার আকর্ষণ বাড়ানোর জন্য প্রযোজ্য।’
কার্গিল যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ভারতীয় বায়ুসেনার মহিলা পাইলট গুঞ্জন সাক্সেনার জীবনকাহিনি অবলম্বনে তৈরি ছবি ঘিরে এর আগেও সত্যের অপলাপের অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে ছবিতে দেখানো ভারতীয় বায়ুসেনার অভ্যন্তরীণ চূড়ান্ত পুরুষতান্ত্রিক পরিমণ্ডল নিয়ে প্রবল আপত্তি তুলেছে বাহিনী।
এ ছাড়া, নির্মাতা করণ জোহরের বিরুদ্ধে বিকৃত ও বিভ্রান্তিকর জাতীয়তাবাদের অভিযোগ এনেছেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। জোহরকে বিদ্রুপ করে তাঁর লেখা কবিতা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছে টিম কঙ্গনা রানাউত।