ব্রেস্ট ক্যানসারে আক্রান্ত তেলুগু অভিনেত্রী হামসা নন্দিনী। ইতিমধ্যে ন’টি কেমোথেরাপি নিতে হয়েছে তাঁকে। এখনও আরও সাতটি কেমোথেরাপি বাকি রয়েছে তাঁর।
ইনস্টাগ্রামে দীর্ঘ পোস্ট করে নিজের রোগ সম্পর্কে বলতে গিয়ে হামসা জানিয়েছেন, মাত্র ১৮ বছর আগে কর্কট রোগে মা'কে হারিয়েছেন অভিনেত্রী। তখন থেকেই মনে মনে তিনি ভেবে নিয়েছিলেন, তাঁর জীবনে পরিবর্তন আসতে চলেছে। অনেকটা ভয়ের মধ্যেই ছিলেন তিনি।
এরপরই স্মৃতি হাতড়ে অভিনেত্রী বলেন, গত চার মাসে আগেই সব কিছু শুরু হয়। বুকের মধ্যে ছোট্ট একটা মাংসপিণ্ড নজরে পড়ে তাঁর। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তিনি বায়োপসি করেন। তাঁর মনের ভয়ই সত্যি হয়। রিপোর্টে আসে, গ্রেড থ্রি ইনভেসিভ কার্সিনোমা (ব্রেস্ট ক্যানসার)-য় আক্রান্ত তিনি। বেশ কিছু স্ক্যান এবং টেস্ট করানোর পর, তাঁর অস্ত্রোপচার হয়। সাহস বুকে করে তিনি অপারেশন থিয়েটারে প্রবেশ করেছিলেন।
অভিনেত্রী বলেন, ‘আমার টিউমার অপসারণ করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, ক্যানসার ছড়ানোর আশঙ্কা এখনও নেই। আমি ভাগ্যবান, এটা প্রথম স্তরেই ধরা পড়েছিল। আশার আলো দেখতে পেয়েছিলাম।’ যদিও আশার আলো বেশি ক্ষণ স্থায়ী হয়নি। কারণ এর পরে পরীক্ষায় তাঁর BRCA1 (বংশগত স্তন ক্যানসার) ধরা পড়ে।
অভিনেত্রীর কথায়, ‘এর মানে হল, আমার জিনের মধ্যেই ক্যানসারের বীজ লুকিয়ে রয়েছে । বাকি জীবনের যে কোনও সময়ে আমি আবার স্তনের ক্যানসারে আক্রান্ত হতে পারি। তার আশঙ্কা ৭০ শতাংশ। ৪৫ শতাংশ আশঙ্কা রয়েছে ডিম্বাশয়ে ক্যানসারেরও। ঝুঁকি কমানোর একমাত্র উপায়— কিছু জটিল কিছু সার্জারি। রোগটাকে জয় করতে গেলে, আমায় এটা করতেই হবে।’
হামসা জানিয়েছেন, এখনও ৭টি কেমোথেরাপি বাকি রয়েছে। তিনি সেই সমস্ত ব্যক্তিদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন, যাঁরা তাঁর স্বাস্থ্য সম্পর্কে ক্রমাগত খোঁজ খবর নিয়েছেন। অনুরাগী এবং শুভানুধ্যায়ীরা নেটমাধ্যমে হামসার দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।