দেখতে দেখতে দাম্পত্য জীবনের ২০ বছর পার করে ফেললেন যিশু সেনগুপ্ত ও নীলাঞ্জনা সেনগুপ্ত। টলিউডের অন্যতম হ্যাপেনিং কপল তাঁরা। ভালোবেসে পরস্পরের হাত ধরেছিলেন, আজও অটুট সেই প্রেম। আরও পড়ুন-পরমের প্রাক্তন ও বর্তমান পরস্পরকে জড়িয়ে! অনুপমের তৃতীয় বিয়ের মাঝে চর্চায় পিয়া
দুই মেয়েকে নিয়ে ভরা সংসার যিশু-নীলাঞ্জনার। সংসার সামলানোর পাশাপাশি প্রযোজনা সংস্থার কাজও একা হাতে সামলান নীলাঞ্জনা। শ্যুটিংয়ের কাজে যিশু কখনও মুম্বই তো কখনও দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি। টলিগঞ্জের গণ্ডি ছাড়িয়ে এখন মুম্বইয়ে তাঁর প্রতিপত্তি জমজমাট। তাই পরিবারকে বিশেষ সময় দিতে পারেন না যিশু। সেই নিয়ে আফসোসও শোনা গিয়েছ তাঁর কন্ঠে।
যিশুকে বলতে শোনা গিয়েছে, 'আমি না গুড হাজব্যান্ড না ভালো বাবা। কারণ পরিবারকে যতটা সময় দেওয়া উচিত আমি দিতে পারি না'। ২০০৪ সালের ৪ঠা মার্চ সদ্য প্রয়াতা অঞ্জনা ভৌমিকের বড় মেয়ে নীলাঞ্জনাকে বিয়ে করেন যিশু। ‘হিপ হিপ হুররে’ ধারাবাহিকে অভিনয় করতেন, মুম্বইয়ে গিয়ে কাজ করার সময় থেকেই প্রেম দুজনের।
যিশুকে নিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে সচরাচর গসিপ শোনাই যায় না! সাতে-পাঁচে থাকতে ভালোবাসেন না। যিশুর জীবনে অন্য-নারীর উপস্থিতি নেই, তবুও গুগলে তাঁকে নিয়ে চটকদার প্রশ্নের ছড়াছড়ি।
আসলে সোশ্যাল মিডিয়ায় সেভাবে অ্যাক্টিভ না হলেও ৪৭ বছর বয়সী যিশুকে নিয়ে কৌতুহলের শেষ নেই দর্শকদের মনে। গুগলে যিশুকে নিয়ে সার্চ করা অন্যতম প্রশ্ন হল, ‘যিশু সেনগুপ্তর কবে ডিভোর্স হচ্ছে?’ ফিভার এমএমের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এই প্রশ্ন শুনেই ভিরমি খেয়েছিলেন নায়ক। তবে রাখঢাক না রেখেই দেন জবাব। যিশু জানিয়েছলেন, ‘আমি কেন ডিভোর্স নিতে যাব? আমি বিবাহিত, যেমনভাবে লোকে বিবাহিত হয় আর কী! এবং প্লিজ না, আমার ডিভোর্স হচ্ছে না।’
বিয়ের ২০ বছরের জন্মদিনে যিশুর সঙ্গে কাটানো নানান রোম্যান্টিক মুহূর্তের ঝলক ইনস্টাগ্রাম রিলের মাধ্যমে তুলে ধরলেন নীলাঞ্জনা। ছবির কোলাজের প্রেক্ষাপটে বাজছে এনরিকে ইগলেসিয়াস সুপারহিট গান হিরো। প্রিয় মানুষদের বিবাহবার্ষিকীতে শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দিয়েছেন টলি সেলেবরা।
যিশু ও নীলাঞ্জনার দুই কন্যে, সারা ও জারা। বাবা-মায়ের পথে হেঁটেই গ্ল্যামার জগতে পা দিয়েছে সারা। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরে ‘উমা’ ছবিতে সারার অভিনয় মন কেড়েছিল সবার। এখন মডেলিং দুনিয়ার মুখ যিশুর কন্যে। গত মাসেই মা-কে হারিয়েছেন নীলাঞ্জনা। সারাক্ষণ স্ত্রীকে আগলে ছিলেন যিশু।