অগণিত মানুষের অনুপ্রেরণা তিনি। মাত্র ৪ বছর বয়স থেকে গান গাওয়া শুরু করেছিলেন বাবার হাত ধরে। আজ ৪৭-এ পা দিলেন সুরের জাদুকর সোনু নিগম। মাত্র ১৯ বছর বয়সে বলিউডে গান গাওয়ার সুযোগ। এরপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি বলিউডের সবথেকে রোম্যান্টিক প্লেব্যাক গায়ককে।
ফিভার এফএমের আরজে ডোডো-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জন্মদিনে গায়ক তাঁর মনের কথা উজাড় করে দেন। সোনু নিগম লঞ্চ করেছেন তাঁর নিজের মিউজের লেভেল ইউটিউব চ্যানেল। নাম ‘আই বিলিভ মিউজিক’ (I Believe Music)। সেই সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রথমেই তাঁর মন্তব্য, ‘প্রত্যেকে দৌড়ে নিজেদের আলাদা মজা আছে। প্রত্যেকের দৌড়ে নিজেদের তাৎপর্য রয়েছে। প্রতিটা মুহূর্তের কোনও না কোনও মানে অথবা উপসংহার রয়েছে। তার থেকে বেশি উপভোগের- ঘরে বসে কাজ করার থেকে নিজের স্টুডিওতে গিয়ে কাজ করা, মিউজিক তৈরি করা, সাক্ষাৎকারের আলাদা অনুভূতি’।
পাশাপাশি গায়ক আরও বলেন, ‘দশ বছর আগে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ‘আই বিলিভ মিউজিক’ (I Believe Music) নামে একটি লেভেল চালু করার। কারণ আমি সত্যিই মিউজিকে বিশ্বাসী। একটা লোগোও বানিয়েছিলাম। কিন্তু পরে এতটাই ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম, এবিষয় ততটা ধ্যান দিইনি। বাইরেই কাজ হয়ে যাচ্ছিল সব তখন। তাই প্রয়োজন বোধ করিনি ততটা। তবে এখন অনেক মিউজিক কোম্পানি রয়েছে যেগুলোর সঙ্গে আমরা কাজ করছি। এমন কিছু কাজ আছে যেগুলো আমরা নিজেরা করতে চাই। যেগুলো অন্য মিউজিক কোম্পানিগুলো হয়তো ততটা বুঝবে না। সেইজন্য আমি ভাবলাম, আমার ‘আই বিলিভ মিউজিক’ (I Believe Music) নিয়ে এগোনো উচিত’।
৩০ জুলাই অভিনেতার জন্মদিনে প্রথম মিউজিক লঞ্চ হচ্ছে এখানে। আরজে ডোডোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে, সোনু নিগমের কথায়, ইন্ডাস্ট্রিতে রেওয়াজ রয়েছে। কিন্তু তার থেকেও বেশি অন্তরের কাজ কথা বলে। তিনি মনে করেন, যখন তিনি শিক্ষক তখন তাঁকে ছাত্রের মতো করে ভাবতে হবে। যদিও এরই মাঝে জন্মদিনে অনুরাগীদের ভালবাসা জানাতে ভোলেননি গায়ক। অনুরাগীদের জন্যই তাঁর জন্মদিন আরও মধুমেহ হয়ে ওঠে জানিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি দুবাইতেও বাড়ি কিনেছেন গায়ক। ১৯৯২ সালে 'জানম' চলচ্চিত্রে প্রথম গান গাওয়ার সুযোগ পান সোনু। যদিও সেই সিনেমাটি মুক্তি পায়নি। তারপর 'মুকাবলা' (১৯৯৩), 'মেহেরবান' খুদর (১৯৯৪), হালচাল (১৯৯৪), গদর (১৯৯৫)-এর মত বলিউডের বিভিন্ন ছবিতে গান গেয়েছেন। ১৯৯৫ সালে সা রে গা মা পা শো-এর সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন। সুপার সিঙ্গার সিজেন থ্রি রিয়্যালিটি শো-এর বিচারকের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। 'কাল হো না হো', 'আভি মুঝমে কভি', 'সুরজ হুয়া মধ্যম', 'কভি অলবিদা না কেহেনা', 'ম্যায় আগর কহু' সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গান রয়েছে এই কিংবদন্তি গায়কের।
সোনুর গায়কিতে মুগ্ধ হয়েছিলেন খোদ সুর সম্রজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর। তবে শুধুই হিন্দি নয়, পাঞ্জাবি, মারাঠি, অসমিয়া, তামিল, তেলেগু, উড়িয়া, বাংলা, ইংরাজি বিভিন্ন ভাষায় গান গেয়েছেন তিনি।