সম্প্রতি ভারত তখতানির সঙ্গে দীর্ঘ ১২ বছরের সংসার ভেঙেছে এষা দেওলের। হেমা মালিনী ও ধর্মেন্দ্র-কন্যা এষার এই বিয়ে ভাঙার খবরে চমকে গিয়েছিলেন অনেকে। ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪-এ একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়ে আইনি বিচ্ছেদের কথা জানিয়েছিলেন ভরত-এষা। এদিকে হিরে ব্যবসায়ী স্বামীর সঙ্গে বিয়ে ভাঙলেও এষার বলিউডের কেরিয়ারও বিশেষ উজ্জ্বল নয়। আর এবার তাই স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর এখন শোনা যাচ্ছে রাজনীতিতে পা দিতে চাইছেন হেমা কন্যা।
হ্যাঁ, ঠিকই শুনছেন। স্বামীর থেকে আলাদা হওয়ার পর মায়ের দেখানো পথেই হাঁটতে চান এষা দেওল। আর একথা নিজ মুখেই জানিয়েছেন হেমা মালিনী। গত ৩ বছর ধরে মথুরার সাংসদ হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন হেমা। এর এবার হেমা মালিনী ABP নিউজকে মেয়ের রাজনীতির প্রতি আগ্রহের কথা জানিয়ে বলেছেন, ‘হ্যাঁ, এষার রাজনীতির প্রতি আগ্রহ আছে।’
হেমা মালিনী জানান, একজন রাজনীতিবিদ হিসাবে কাজ করার জন্য তাঁকে ধর্মেন্দ্র সবসময় সমর্থন করেন। হেমার কথায়, ‘পরিবার সব সময় আমার সঙ্গে থাকে’। পরিবারের সমর্থনের কারণেই আমি এই কাজ করতে পারছি। ওরা মুম্বইয়ে আমার বাড়ির দেখাশোনা করে, তাই আমি খুব সহজেই মথুরায় আসতে পারি। আমি মথুরায় আসি, আবার বাড়ি ফিরে যাই। ধরমজি (ধর্মেন্দ্র) আমি যা করি তাতেই খুব খুশি। তিনি আমাকে সমর্থন করেন এবং তিনিও মাঝে মধ্যে মথুরায় আসেন।'
অভিনেত্রী দুই মেয়ে এষা এবং অহনাও কি রাজনীতিতে যোগ দিতে আগ্রহী? এপ্রশ্নে হেমা মালিনী বলেন, ‘ওরা যদি চায় রাজনীতিতে আসতে পারে।’ তারপরই হেমা বলেন, ‘এষা আগামী বছরগুলিতে রাজনীতিতে যোগ দিতে পারে কারণ ও আগ্রহী বলে মনে হয়।এষা রাজনীতিতে খুবই আগ্রহী। সে এই বিষয়টা পছন্দ করে। আগামী কয়েক বছরেও এই আগ্রহটা থাকলে ও অবশ্যই রাজনীতিতে যোগ দেবে’।
প্রসঙ্গত, অভিনয় থেকে এই মুহূর্তে হেমা মালিনীও অনেক দূরে রয়েছেন। এই মুহূর্তে রাজনীতিতেই মন তাঁর। পাশাপাশি, এই বয়সেও নাচটা তিনি এখনও চালিয়ে যাচ্ছে। আর মায়ের পথে হেঁটেই নাচ ও রাজনীতিতেই আপাতত মন দিতে চান এষা।
এদিকে সদ্য ভরতের থেকে আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এষা দেওল। শোনা যাচ্ছে মেয়ে এষা দেওলের সিদ্ধান্তে খুশি নন বাবা ধর্মেন্দ্র। তাঁর বিশ্বাস এই বিচ্ছেদ এষা ও ভরতের মেয়ে রাধ্যা ও মিরায়াকে 'খারাপভাবে প্রভাবিত' করতে পারে। দেওল পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্র সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, ‘কোনও বাবা-মাই তাঁদের সন্তানদের সংসার ভাঙলে খুশি হতে পারেন না। ধর্মেন্দ্রজিও একজন বাবা, তিনিও তাই এটা চাননা। তিনি তাঁর মেয়ের বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে। ধর্মেন্দ্র চান, এষা নিজের সিদ্ধান্ত আরও একবার ভেবে দেখুক।’