রোজকার দশটা-পাঁচটার অফিস জীবনের ঝঞ্ঝাট পোহাতে পোহাতে হতাশায় ভুগছেন কিংবা ব্যক্তিগত জীবনে গ্রাস করেছে অবসাদ? সহজ কথায় কিছুই যখন ভালো লাগে না তখন মানুষ হতোদ্যম হয়ে পড়ে। এহেন পরিস্থিতিতে সে কী করবে? উপায় বাতলালেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করেই।
টলিউডের এই প্রথম সারির তারকাকেও একটা সময় যেতে হয়েছে নানান চড়াই উৎরাইয়ের মধ্যে দিয়ে। বাংলা ইন্ডাস্ট্রি বাঁচিয়ে রাখার তাগিদে বহু বছর 'ছুটিহীন' কাজ থেকে একই ফর্মুলায় তৈরি বাণিজ্যিক ছবিতে অভিনয় করে গেছেন। ছবি সমালোচকরা কলমের সৌজন্যে 'ছিঁড়ে খেয়েছেন' তাঁকে, তবুও দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই চালিয়ে গেছেন। অন্যদিকে ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও নায়ককে কেন্দ্র করে কম বিতর্ক তৈরি হয়নি। তা সত্বেও কিন্তু 'রেস ট্র্যাক' ছেড়ে পালিয়ে যাননি তিনি। এবার সেই অভিজ্ঞতা থেকেই জীবনে পার্থক্য আনার জন্য টোটকা বললেন 'বুম্বাদা'।
সোমবার নিজের একটি হাসিমুখের ক্যানডিড ছবি পোস্ট করে প্রসেনজিৎ জানিয়েছেন,‘আপনার জীবনে একটা বড় পার্থক্য আসে, যখন আপনি পজিটিভ থাকেন।’ ক্যাপশনের এই কথাটুকু থেকেই পরিষ্কার হাল ছেড়ে না দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তারকা। 'স্টে পজিটিভ' এর সত্যিকারের অর্থ প্রসেনজিৎ ছাড়া কেইই বা ভালো জানবে। তাই জীবনে ভেঙে না পড়ার কথাই নিজের অনুরাগীদের ফের একবার মনে করিয়ে দিলেন 'বুম্বাদা'।
কিছুদিন আগে 'ফাদার্স ডে'-তে বাবা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দুটো ছবি পোস্ট করে 'বুম্বাদা' লিখেছিলেন,'প্রথম দিনের শুটিং থেকে আজ পর্যন্ত, তুমি আমাকে যা শিখিয়েছ তা আমার কাছে অত্যন্ত মূল্যবান। ভাল থেকো বাপি।’ বাবার থেকে যে হাল না ছেড়ে জীবনে পজিটিভ থাকতে হয় সেকথারও বুঝি ইঙ্গিত এই পোস্টের মাধ্যমেই দিয়েছেলেন তিনি।