চিনতেও পারবেন না কপিল শর্মাকে, ১৫ বছরে নিজের লুক বদলে ফেলেছেন কমেডি কিং

কমিডিয়ানের জন্মদিনে পিছন ফিরে দেখা কেরিয়ারের শুরুর দিনগুলো।

কপিল শর্মা

বর্তমান দেশের অন্যতম জনপ্রিয় কমেডিয়ান হিসেবে পরিচিত কপিল শর্মা। তাঁর ‘দ্য কপিল শর্মা শো’ এবং ‘কমেডি নাইটস উইথ কপিল’ প্রচুর জনপ্রিয়তা পেয়েছে দর্শকদের কাছে। কিন্তু অনেকেই কাছেই কপিলের শুরুর জার্নিটা অজানা।

২ এপ্রিল ৪০-এ পা দিলেন কপিল শর্মা। জন্মদিনে পিছন ফিরে দেখা যাক। ২০০৭ সালে দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান লাফটার চ্যালেঞ্জে অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি। সেখানে জয়ীও হন। ১০ লক্ষ টাকা প্রাইজ মূল্য নিয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন কপিল। কিন্তু সেটা তার কাছে ছিল বিশাল একটা ব্যাপার।

২০১৪ সালে নামী এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, পুরস্কারে জেতা টাকা দিয়ে বোনের বিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। কপিল বলেন, জানুয়ারি ২০০৭-এ তাঁর বোনের বিয়ে ঠিক হয়েছিল। কিন্তু তাঁর শাশুরি আংটি বদলের অনুষ্ঠান করতে চেয়েছিলেন। তখন তাঁদের কাছে ৬ লক্ষ টাকা ছিল। সাড়ে তিন লক্ষ টাকা কপিলের বাবার ওষুধের জন্য খরচ হয়ে গিয়েছিল। এবং বকি আড়াই লক্ষ টাকা বোনের বিয়ের জন্য ছিল। সেই সময় তাঁদের কাছে একটা আংটি কেনারও টাকা ছিল না। সৌভাগ্যক্রমে তিনি এপ্রিলে মুম্বই এসেছিলেন এবং তারপরই ‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান লাফটার চ্যালেঞ্জে’ অংগ্রহণ করে বিজয়ী হন। দশ লক্ষ টাকা জেতেন। সেই রাতেই তিনি শো-এর শেষে তাঁর বোনকে ফোন করে বলেন, আংটি কিনে নিতে। এরপরই তিনি একের পর এক শো-করতে শুরু করেন এবং ৩০ লক্ষ টাকা জড়ো করেন। কপিল জানিয়েছিলেন, তাঁর বোনের বিয়ের জন্য সেই টাকা যথেষ্ট ছিল।

বর্তমানে কপিল ভারতীয় বিনোদন জগতের অন্যতম সেরা কমেডিয়ান। কপিল সব সময়ই বলে আসেই তাঁর জনপ্রিয়তার অগোচরে রয়েছে ১৫ বছরের কঠোর পরিশ্রম।

হিন্দুস্তান টাইমসকে ২০১৫ সালে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, শো-তে সফলতা তিনি রাতারাতি অর্জন করেননি। তিনি নিজেকে আরো শাণ দিয়েছেন এবং কর্মক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। এখন তাঁর শো যথেষ্ট জনপ্রিয়। লোকে তাঁর শো-কে কোনোরকম বাছ-বিচার ছাড়াই পছন্দ করে। রসিকতাগুলোকে মজার ছলেই গ্রহণ করে।  এবং তাঁদের টিম সত্যিই কঠোর পরিশ্রম করে প্রত্যেক সপ্তাহে দর্শকদের কাছে নতুন বিষয়বস্তু নিয়ে হাজির হয়।

সাফল্যের স্বাদ গ্রহণের পাশাপাশি উত্থান-পতনও কপিলের জীবনের অংশ ছিল। কয়েক বছর আগে দ্য কপিল শর্মা শো’তে তাঁর সহশিল্পী সুনীল গ্রোভারের সঙ্গে তাঁর মনোমালিন্য ঘটে। এই বিতর্কে জনগণের মতামত কপিলের বিরুদ্ধে জোরালোভাবে পরিণত পেয়েছিল। তবে তিনি আটকে গিয়েও তাঁর অনুষ্ঠানটি আবার চালু করেন। ধীরে ধীরে তিনি ফের দর্শকদের কাছে নিজের জায়গা গড়ে তোলেন।