অভিনেতা অনু কাপুরের আসন্ন সিনেমার নাম ‘হাম দো হামারে বারাহ’। ৫ অগস্ট মুক্তি পেয়েছে ছবির প্রথম পোস্টার। বাকি কাস্টদের সঙ্গে পোস্টারের ঝলকে দেখা মিলেছে অনু কাপুরের। দেখে মনে হচ্ছে, অভিনেতা এক মুসলিম পরিবারের প্রধান। তাঁর ১১ টি সন্তান, এমনকি স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবির পোস্টার শেয়ার হতেই এক নেটিজেন সমালোচনা করে লেখেন, 'বেহায়াপনা ইসলামোফোবিয়া' এবং 'জনসংখ্যা বিস্ফোরণের কারণ' হিসেবে মুসলমানদের দেখাচ্ছে। ছবির পরিচালক কমল চন্দ্র এই প্রসঙ্গে বলেছেন, পোস্টারে আন্নু কাপুর রয়েছে, 'মোটেই আপত্তিকর নয়'। এটাকে ‘সঠিক প্রেক্ষাপটে’ দেখা দরকার।
আরও পড়ুন: বয়স ৭০ ছুঁইছুঁই, এখনও পর্দায় নিজেকে রোজ ভাঙেন-গড়েন অনুসূয়া! এই দিদা-ঠাম্মি হিট
রবিবার সাংবাদিক রানা আয়ুব ‘হাম দো হামারে বারাহ’-এর পোস্টার টুইট করেছিলেন। ছবির প্রসঙ্গে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশনকে প্রশ্ন করেছিলেন তিনি। টুইটে লেখেন, ‘সেন্সর বোর্ড (সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন) কীভাবে এমন একটি ছবির জন্য অনুমতি দিল, যেখানে মুসলমানদেরকে জনসংখ্যার বিস্ফোরণের কারণ হিসাবে দেখাচ্ছে। সম্প্রদায়ের উপর বিনা কারণে এই বিষয়ে আক্রমণ করা হচ্ছে। নির্লজ্জ ঘৃণা এবং ইসলামোফোবিয়া, যখন তাঁরা একটি মুসলিম পরিবারের ছবি ব্যবহার করে এটিকে ‘হাম দো হামারে বারাহ’ বলে।' একজন টুইটার ব্যবহারকারী এই টুইটের প্রতিক্রিয়ায় লিখেছেন, ‘বলিউডের একটি বিভ্রান্তিকর চক্রান্তের অংশ...’।
ইটাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পরিচালক কমল চন্দ্র ‘হাম দো হামারে বারাহ’-এর পোস্টারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগের প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। বলেছেন, ‘আমাদের ছবির পোস্টার হাম দো হামারে বারাহ মোটেই আপত্তিকর নয়। এটাকে সঠিক প্রেক্ষাপটে দেখা দরকার। আমরা আশ্বস্ত করছি, আমাদের সিনেমার মাধ্যমে কোনও একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে টার্গেট করছি না। আমি মোটামুটি নিশ্চিত দর্শক যখন এই সিনেমা দেখতে যাবেন, তারা এই সিনেমায় আমাদের সময়ের সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলির মধ্যে একটি দেখতে পেয়ে খুশি হবেন, যা জনসংখ্যা বৃদ্ধির উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। কোনও বিশেষ সম্প্রদায়ের পক্ষপাতিত্ব না করে, অনুভূতিতে আঘাত না করেই এটা বানানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন: নেতিবাচক নিউজে বিরক্ত বোধ করেন, ‘আমি কী দোষ করেছি?’, প্রশ্ন জ্যাকলিনের!
পরিচালক আরও বলেছেন, ছবিতে 'জনসংখ্যা বিস্ফোরণ'-এর মতো একটি 'গুরুত্বপূর্ণ বিষয়' দেখানো হয়েছে। তিনি জনগণকে ‘সঠিক প্রেক্ষাপটে পোস্টার ও ছবিটি দেখার’ আহ্বান জানান। কমল বলেন, ‘আজকে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের মানুষ অনুভব করছে, আমাদের সিনেমার মাধ্যমে তাঁদের টার্গেট করা হচ্ছে। আমরা যদি অন্য কোনও সম্প্রদায়কে প্রতিফলিত করে একটি পোস্টার তৈরি করতাম, তারাও একই কথা বলত। আমি মনে করি সিনেমা আমাদের চিন্তাভাবনা এবং অনুভূতি প্রকাশের সেরা মাধ্যম। আমি সকলকে অনুরোধ করছি এটিকে একটি ইস্যু না করার জন্য… জনসংখ্যা বিস্ফোরণ একটি অত্যন্ত গুরুতর সমস্যা যা আমাদের দেশে দীর্ঘদিন ধরে প্রভাব ফেলছে। যতক্ষণ না আমরা এটিকে গুরুত্ব সহকারে চিন্তা করব, ততক্ষণ আমাদের দেশ আমরা যেভাবে আশা করি সেভাবে বিকাশ করতে সক্ষম হবে না। পোস্টার ও ছবিটি সঠিক প্রেক্ষাপটে দেখার জন্য সবাইকে অনুরোধ করছি।’