সতীশ মানেশিন্দের মতো নামী-দামী আইনজীবীর দলিল কাজে আসেনি আদালতে। ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে গ্রহণযোগ্য নয়, আরিয়ানের জামিনের আবেদন- এমনটাই শুক্রবার জানিয়ে দিলেন মুম্বই মেট্রোপলিটন কোর্টের বিচারক, আরএম নেরলিকার।
তবে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে এদিন শাহরুখ পুত্র নিজের আইনজীবী মারফত এদিন কোর্টকে জানায়, ‘আমি ২৩ বছর বয়সী একটা ছেলে, আমার কোনও ক্রিমিন্যাল রেকর্ড নেই। আমাকে সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। ড্রাগস নিতে বলা হলে আমি অস্বীকার করেছিলাম। আমার বিরুদ্ধে আর কোনও অভিযোগ নেই। আমার ফোনের সমস্ত ডেটা সংগ্রহ করে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে’।
আরিয়ান আরও জানায়, ‘আমার বাবা-মা রয়েছে, পরিবার এখানে থাকে। আমি ভালো ঘরের ছেলে। আমার ভারতীয় পাসপোর্ট রয়েছে, আমি কোথাউ পালিয়ে যাব না’। এমনকি ক্ষমতাশালী বাবার ছেলে বলে তথ্য-প্রমাণের লোপাটের কোনও চেষ্টাও সে করবে না- এমন আশ্বাস দেয় আরিয়ান। আরিয়ান আরও জানায়, ‘আমার কাছ থেকে কোনওরকম মাদক উদ্ধার হয়নি, এবং যে চ্যাটের কথা বলা হচ্ছে সেগুলো সেইসময়ের যখন আমি বিদেশে ছিলাম’।
আরিয়ান খান, তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু আরবাজ মার্চেন্টকে গত শনিবারই গোয়াগামী ক্রুজ থেকে আটক করেছিল এনসিবি,পরদিন গ্রেফতার হন তারকা পুত্র। আরবাজের কাছ থেকে ৬ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। আরিয়ানকে জেরা করে পাওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে মাদকচক্রী অর্চিতকে গ্রেফতার করেছে এনসিবি।
বৃহস্পতিবার ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট আরিয়ানসহ এই মামলার বাকি আট অভিযুক্তকে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছে। আজ, শুক্রবার দুপুরে আর্থার রোড জেলে স্থানান্তরিত করা হয় আরিয়ানকে। এনডিপিএস আইনের ৮সি, ২০বি, ২৭ এবং ৩৫ নম্বর ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে আরিয়ান খানকে। মাদক সেবন এবং তা ক্রয় করবার অভিযোগ রয়েছে আরিয়ানের বিরুদ্ধে, যদিও গ্রেফতারির পর আরিয়ানের মেডিক্যাল রিপোর্টে ড্রাগস পাওয়া গিয়েছে কিনা তা স্পষ্ট করেনি এনসিবি। ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে জামিন খারিজ হওয়ায়, বিশেষ এনডিপিএস আদালতে জামিনের আবেদন জানাতে হবে আরিয়ানকে। তবে আপতত আর্থার রোড জেলের কোয়ারেন্টাইন ওয়ার্ডই ঠিকানা আরিয়ান খানের।