প্রেমের খবর চাপা রাখা বেশ মুশিকল! আর তা যদি দুই তারকার হয় তাহলে তো কথাই নেই। টলিপাড়ার আনাচে-কানাচে এখন জোর চর্চা শ্রীমা ভট্টাচার্য আর ইন্দ্রনীল চট্টোপাধ্যায়ের প্রেমের। যদিও প্রকাশ্যে দুজনের কেউই কিছু স্বীকার করেননি। তাঁদের প্রেম জল্পনা উসকে দিয়েছে দুই তারকার প্রোফাইলে একইসময়ে আসা থাইল্যান্ড ভ্রমণের ছবি।
ক্রাবির এমারেল্ড পুলে জলকেলির ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন শ্রীমা দিনকয়েক আগেই। গাঁটছড়ার শ্যুট শেষ হতেই অভিনেত্রী ছুটেছিলেন বিচ ভ্যাকেশনে। তবে নেট-নাগরিকদের নজর এড়াল না দিনকয়েক আগে এই পুলে গা চোবাতে দেখা গিয়েছিল ইন্দ্রনীলকেও। শুধু এই জলাশয়টি থেকে নয়, ফুকেতের একাধিক জায়গা থেকে দুজনে ছবি-ভিডিয়ো শেয়ার করে নিয়েছেন সোশ্যালে, সামান্য সময়ের ব্যবধানে।
গৌরব রায়চৌধুরীর সঙ্গে একটা সময় খুল্লমখুল্লা প্রেম করেছেন শ্রীমা। ২০২০ সালের শুরুর দিকেই শিলমোহর দিয়েছিলেন অভিনেত্রী সেই সম্পর্কে। তবে বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ভেঙে যায় সেই প্রেম। তারপর থেকে প্রেম জীবনকে গোপন রেখে এসেছেন। মাঝে ক্রিকেটার শেঠের সঙ্গেও শ্রীমার প্রেম নিয়ে চর্চা চলেছিল। দুজনের বেশকিছু ছবি-ভিডিয়ো ছিল যার মূলে। তারপর দেখা যায়, সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সেগুলো হঠাৎই সরিয়ে ফেলেছেন। সেই সময় বিতর্ক নিয়ে সাফাই দিতে গিয়ে পুরোটাই গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন শ্রীমা। জানিয়েছিলেন, তিনি আর কনিষ্ক শুধু বন্ধু!
এক সংবাদমাধ্যমকে নিজের লাভ লাইফ নিয়ে প্রশ্নে গাঁটছড়া-র দ্যুতির জবাব ছিল, ‘যদি জল্পনা-কল্পনা সত্যি হয় তাহলে বুঝতে হবে মানুষের প্রেডিকশন সত্যি হচ্ছে। ওই সিরিয়ালের মতো করেই বলব, আরও জানতে চোখ রাখুন শ্রীমার জীবনে। আজকাল এই নিয়ে প্রশ্ন এলে, এই উত্তরই আমি দিয়ে থাকি। আর সব আগে থেকে বলে দিলে তো মজাটাই চলে যাবে।’
সেপ্টেম্বরে ইন্দ্রনীলের জন্মদিনেও বিশেষ পোস্ট এসেছিল শ্রীমার তরফে। জন্মদিনের সকালে সুন্দর রিল ভিডিয়ো শেয়ার করে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন শ্রীমা। আর লিখেছিলেন, ‘৩৬৫ দিন, দিনরাত জুড়ে তোমার এই পাগলামিটা যেন আরও বাড়ে। আপনি কুর্সি কি পেটি বান্ধ লো...কিউ কি পিকচার অভি বাকি হ্যায় মেরে দোস্ত।’ সঙ্গে আবার লাল হৃদয়োর ইমোজি। ইন্দ্রনীলের শেয়ার করা কেক কাটার ঘরোয়া অনুষ্ঠানে ছবিতেও দেখা গিয়েছিল শ্রীমাকে। যেখানে অভিনেতার পরিবারও উপস্থিত ছিলেন।
এসব শুধুই কি ‘ভালো বন্ধুত্ব’ নাকি একে-অপরকে মনটা দিয়েই ফেলেছেন?