ইরফান খানহীন একমাস ইতিমধ্যেই অতিক্রান্ত,তবুও যেন কিছুতেই এই মৃত্যুশোক কাটিয়ে উঠতে পারছে না ভারতীয় চলচ্চিত্রপ্রেমীরা।দু বছর ধরে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই চালাচ্ছিলেন ইরফান,২৮ এপ্রিল কোলেনে ইনফেকশন নিয়ে মুম্বইয়ের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন।পরের দিন ২৯ এপ্রিল মৃত্যু হয় ইরফান খানের। জীবনের শেষ দিনগুলোতেও মানুষের জন্যই কাজ করে গিয়েছেন ইরফান। করোনাভাইরাস সংকটের জন্য অনুদান দিয়েছিলেন অভিনেতা। পিঙ্কভিলাকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে এই খবর প্রকাশ্যে এনেছেন ইরফানের জয়পুরের বন্ধু তথা প্রতিবেশী জিয়াউল্লা। তবে একটাই শর্ত ছিল ইরফানের,তাঁর এই সাহায্যের কথা যেন কেউ জানতে না পারে।
'করোনা সংকটে আমরা একটা ফান্ড তৈরি করেছিলাম সাধারণ মানুষের সহায়তার জন্য। যখন আমরা ওঁনার ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলি সে আমাদের সাহায্য করে,এমনকি ইরফান গোটা বিষয়টি জানতে পেরে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। তবে একটাই শর্ত ছিল ওঁর। এই সাহায্যের কথা যেন কেউ জানতে না পারে। কাউকে জানিয়ে দান করার ব্যাপারটা ওদের গোটা পরিবারেরই না-পসন্দ। মানুষের কাছে সাহায্য পৌঁছে যাওয়াটা জরুরি,অন্য মানুষের জানাটা নয়’, বলেন জিয়াউল্লা। তিনি আরও যোগ করেন,আমি এখন এই কথাটা বলছি কারণ উনি আর আমাদের মধ্যে নেই। তাই এটা মানুষের জানাটা খুব জরুরি যে ওঁর মতোও একজন মানুষ ছিল’।
ইরফান খানের মায়ের মৃত্যুর চারদিনের মাথায় মৃত্যু হয় ইরফানের। জিয়াউল্লা জানান, মাকে ভীষণ ভালোবাসেন ইরফান,মায়ের স্বাস্থ্য নিয়েও সবসময়ই চিন্তায় থাকতেন তারকা। ‘মায়ের সামন্য শরীর খারাপের কথাও কানে পৌঁছেলেও জয়পুর ছুটে আসত ও। যত কম সময়ের জন্যই হোক না নির্দিষ্ট অন্তরালে মায়ের সঙ্গে দেখা করতে আসত ইরফান’।
শুক্রবার ইরফান খানের মৃত্যুর একমাস পূর্তির দিন ফেসবুকে একটি আবেগঘন পোস্ট করলেন পত্নী সুতপা শিকদার। ফেসবুকে স্বামীর সঙ্গে নিজের একটি ছবি এবং ইরফানের একটি সিঙ্গল ছবি পোস্ট করেন তিনি লেখেন, ‘ভালো কাজ, খারাপ কাজের বাইরে গিয়ে একটা ক্ষেত্র রয়েছে। তোমার সঙ্গে আমার সেখানে দেখা হবে। আত্মা একটা ঘাসে উপর শুয়ে থাকবে, এবং এই পৃথিবীটা এতটাই ভরে উঠবে যে এখানে আর কারোর সঙ্গে কথা বলার থাকবে না। এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা, দেখা হবে, কথা হবে। এখন শুধু অপেক্ষা, যতক্ষণ না আবারও দেখা হয়’।