বাংলা টেলিভিশনের অন্যতম হিট অনস্ক্রিন জুটি রাহুল-রুকমা। ‘দেশের মাটি’র রাজা-মাম্পি মাস কয়েকের মধ্যেই পর্দায় কামব্যাক করে জি বাংলার থ্রিলারধর্মী সিরিয়াল ‘লালকুঠি’ নিয়ে। বিক্রম-অনামিকার গল্প শুরু থেকেই ‘রাম্পি’র জনপ্রিয়তা ছুঁতে পারেনি। জি বাংলার এই 'হটকে' সিরিয়াল টিআরপি-র দৌড়ে শুরু থেকেই পিছিয়ে থেকেছে। রাত সাড়ে ন-টার স্লটে ‘অনুরাগের ছোঁয়া’কে টেক্কা দিতে ব্যর্থ ‘লালকুঠি’। এর মাঝেই সোশ্যাল মিডিয়ায় জোর গুঞ্জন শেষ হচ্ছে ‘লালকুঠি’।
মাত্র চার মাস আগে শুরু হওয়া ‘লালকুঠি’র আচমকা বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবরে তোলপাড় নেটপাড়া। বেজায় মন খারাপ রাহুল-রুকমার ভক্তদেরও। অন্য স্বাদের এই গল্প কেবল টিআরপি-র দৌড়ে পিছিয়ে পড়বার জেরেই বন্ধ হয়ে যাবে? এই ব্যাপারে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায় মানে ‘লালকুঠি’র বিক্রমের সঙ্গে। প্রশ্ন শুনেই অভিনেতার জবাব, ‘আমাদের তো জানা নেই যে লালকুঠি শেষ হচ্ছে। আর সত্যি বলতে আমরা তো বুঝতে পারি গল্পটা কোনদিকে এগোচ্ছে, সেটা যেভাবে এগোচ্ছে আর চ্যালেন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের যতখানি কমিউনিকেশন হয়েছে, তাতে আমরা তো শেষের কথা ভাবছিই না’।
আরও পড়ুন- 'বন্ধুদের পছন্দের ছবি বানাচ্ছে পরিচালকরা', সহকর্মীদের নজিরবিহীন আক্রমণ রাকেশের
'দেশের মাটি'র সহ-অভিনেতা দিব্যজ্যোতির ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র কাছে টিআরপি-র লড়াইয়ে বারবার পরাজিত রাহুল-রুকমারা। এই প্রসঙ্গে রাহুলেরকী মত? অভিনেতা জানালেন, ‘যেটা আমার কন্ট্রোলে নেই সেটা নিয়ে তো আমি কিছু করতে পারব না। আমি পারব নিজের শটটা সবটা মনোযোগ দিয়ে দেওয়ার’। পাশাপাশি তাঁর যুক্তি, ‘টিআরপি নিয়ে কথা হলেও একটা জিনিস নিয়ে কথা হয় না, প্রত্যেকটা চ্যানেলের একটি নিজস্ব ওটিটি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। সেখানে কোন সিরিয়ালের কী অবস্থান। লালকুঠির ওটিটি-গত অবস্থান অসম্ভব ভালো বললেও কম বলা হবে’।
ধারাবাহিক টিআরপি তালিকায় হিট না হলে, বিশেষত স্লট লিডার না হতে পারলে চ্যানেলের তরফে হুড়মুড়িয়ে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে সেই সকল সিরিয়াল। সম্প্রতি মাত্র তিন-মাসে ‘বৌমা একঘর’ বন্ধ করেছে স্টার জলসা। তাই ‘লালকুঠি’ নিয়ে এই আশঙ্কা। টেলিপাড়ায় জোর গুঞ্জন, পুজোর পর সুশান্ত দাসের টেন্টের নতুন সিরিয়াল আসবে জি বাংলায়। আর এই কয়েকদিনে ‘লালকুঠি’র অবস্থানে বিশেষ বদল না এলে কোপ পড়তে পারে এই ধারাবাহিকে এমনটাই শোনা যাচ্ছে। যদিও রাহুল সেই গুঞ্জন উড়িয়ে দিলেন।