Jeetu-Nabanita: ‘আমি কি ভুল করলাম, সিঁদুর দানের সময়ে হাত কাঁপছিল’, নবনীতাকে বিয়ে প্রসঙ্গে জিতু

পাওয়ার কাপল জিতু-নবনীতার ডিভোর্সের খবর নাড়িয়ে দিয়েছে নেট-নাগরিকদের। অনেকেই বিশ্বাস করতে পারছেন না এখনও যেন।

চর্চায় জিতু-নবনীতার ডিভোর্সের খবর। 

গত সপ্তাহে ডিভোর্সের ঘোষণা করে সকলকে চমকে দিয়েছিলেন ‘বিয়ের ফুল’ অভিনেত্রী নবনীতা দাস। ফেসবুকে হঠাৎই পোস্ট করে জানান মিউচুয়ালি ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি আর জিতু। এরপর সংবাদমাধ্যমের তরফে যোগাযোগ করা হলে অভিনেত্রী পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেন, গত তিন সাড়ে তিন মাস ধরেই তাঁরা একে-অপরের থেকে আলাদা থাকছেন। ছয় মাস থাকলেই সেপারেশন পিরিয়ড শেষ হয়ে যাবে। এবং অফিসিয়ালি ডিভোর্স নিয়ে নেবেন।

কারণ হিসেবে নবনীতা জানান, অনেকদিন ধরেই দুজনে বুঝতে পারছিলেন একে অপরের সঙ্গে তাঁরা আর আগের মতো ভালো নেই। তাই সম্পর্ক খারাপ হয়ে যাওয়ার আগেই সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। যদিও বিচ্ছেদ মানে এমন নয় যে মুখ দেখাদেখি বন্ধ। একই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার সূত্রে ডিভোর্সের পরেও তাঁরা দেখা হলে মুখ ঘুরিয়ে চলে যাবেন না, বরং দাঁড়িয়ে কথাই বলবেন।

তবে নবনীতার মুখে যখন এসব কথা, য়খন জিতুর মুখে কিন্তু জোরা লাগানোর ইঙ্গিতই পেয়েছে নেটপাড়া। অভিনেত্রীর বিচ্ছেদের পোস্টের জবাবে জিতু ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘তোমায় আগেও সামলেছি বাচ্চা বউ, ভবিষ্যতেও সামলাব।’ এসব দেখে নেটিজেনদের অনেকেরই মত, সম্পর্ক সামলানোর চেষ্টা এখনও করে চলেছেন জিতু। আর তাই নতুন করে ভাইরাল হয়েছে স্টার জলসার রিয়েলিটি শো ‘ইস্মার্ট জোড়ি’র একটি ভিডিয়ো ক্লিপিংস। যেখানে জিতুকে বলতে শোনা গিয়েছিল, বিয়ের আগের রাতেও বেশ টেনশনে ছিলেন তিনি। ভয় করছিল, কিছু ভুল করে ফেলছেন না তো!

ইস্মার্ট জোড়ি-র সঞ্চালনা করেছিলেন জিৎ। ভিডিয়োতে জিতু-কে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘‘আমি সবসময় হাসিঠাট্টা করা মানুষ। তবে বিয়ের আগের রাতে খুব টেনশনে পড়েছিলাম। ওকে (নবনীতাকে দেখিয়ে) একটা লম্বা ম্যাসেজও করেছিলাম। লিখেছিলাম, ‘তুমি কোনও ভুল করতে যাচ্ছ না তো...’! আসলে মা-বাবার দায়িত্ব নেওয়া আলাদা। কোনও ভুল করলেও ভালোবাসবে। একটা মেয়েকে দায়িত্ব নিয়ে আনলে, তাঁকে সারা জীবন ভালো রাখতে হবে। ও বাবা-মায়ের একমাত্র মেয়ে। শুধু মনে হচ্ছিল, ঠিক করছি তো? ভুল করে ফেলছি না তো? সিঁদুর পরানোর সময়তেও হাতটা ঠকঠক করে কাঁপছিল।’’

নবনীতা এরপর জিৎকে জানান, বিয়ের পর শ্বশুরের মুখে ‘বউমা’ ডাক শুনে, দেওরের মুখে ‘বউদি’ শুনে হঠাৎ যেন বড় হয়ে যান তিনি! বুঝতে পারেন এখন আর তিনি নবনীতা নেই। এখন তিনি কারও স্ত্রী।

এদিকে মঙ্গলবার লাইভে এসেছিলেন জিতুর ‘বাচ্চা বউ’। যেখানে নবনীতা সাফ জানিয়ে দেন, তাঁর আর জিতুর ডিভোর্সের মাঝে নেই কোনও তৃতীয় ব্যক্তির উপস্থিতি নেই। বিশেষ করে যারা শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের নাম টেনে এনে ট্রোল করছেন, তাঁরা যেন অবিলম্বে তা বন্ধ করে দেন। প্রসঙ্গত, ‘বাবুসোনা’-র পর ‘আমি আমার মতো’ সিনেমাতে ফের একসঙ্গে কাজ করতে চলেছেন জিতু আর শ্রাবন্তী। ফলে অনেকেই টলিউডের এই নায়িকার দিকে আঙুল তুলেছিলেন ডিভোর্সের খবর জানার পর থেকে। আর তা যে সঠিক নয়, তা সাফ জানিয়ে দেন নবনীতা লাইভে এসে।