বৃহস্পতিবার রাত থেকেই নবনীতা দাস-জিতু কমলের কেস নিয়ে সরগরম টলিউড। পুলিশের উপর একাধিক অভিযোগ তুলেছেন এই পরিবার। নিন্দেতে সামিল হয়েছেন নেটিজেনরাও। ঠিক কী হয়েছিল সেদিন, এবার তা নিয়ে মুখ খুললেন জিতু। সঙ্গে নবনীতা কেন নিজের পোস্টে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করেছে, তা নিয়েও কথা বললেন।
বাঘাযতীন থেকে সোদপুরের দিকে ফিরছিলেন তাঁরা। মাঝে এক সিগন্যালে দাঁড়িয়েছিল গাড়ি তখনই একটা ডালা গাড়ি এসে দাঁড়াতে ঘষা লাগে তাঁদের গাড়ির গায়ে। এরপর জিতু-নবনীতা চুপ থাকলেও, তাঁদের গাড়ির ড্রাইঙার হেরিয়ে ওই ডালা গাড়ির কাচে টোকা মারেন ড্রাইভার। এতেই কাচ ভেঙে গিয়েছে বলে দাবি তুলে ঝামেলা শুরু করে ওই পন্যবাহী গাড়িটি। তাঁদের গাড়ির ড্রাইভারকে চাপা দেওয়ার চেষ্টাও করে। ততক্ষণে রাস্তায় কর্মরত পুলিশকর্মী এসে যায়, যার নাম পরশুরাম দলুই, যিনি বার বার রাস্তাতেই ‘সেটেল’ করার কথা বলতে থাকেন।
জিতুর কথায়, ‘‘বিচারের জন্য থানায় নিয়ে যেতে বলি। কিন্তু, সেটা উনি কিছুতেই করতে চাইছিলেন না। ক্রমাগত বলে গেলেন, "রাস্তায় সেটল করুন।" আমরা বলি, জেনারেল ডায়েরি করতে চাই। কিন্তু উনি কিছুতেই থানায় যাবেন না। 'সেটেল' করতে চাইছিলেন।’’
এরপর থানায় নিয়ে গেলে বাইরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। এরপর ওই পুলিশ কর্মী বাইরে এসে থ্রেট করতে শুরু করে জিতু-নবনীতাকে। বলতে থাকে, ‘গাড়ি সিজ করে দেব... লক আপে ভরে দেব।’ এরপর যখন তাঁরা ভিতরে জিডি করছিলেন তখন বাইরে কিছু লোক চড়াও হয় তাঁদের গাড়ির ড্রাইভারের উপরে। গাড়ির উপরে দাপাদাপি করতে থাকে কিছু মানুষ। এরপর শুরু হয় গালিগালাজ। নবনীতাকে হুমকিও দেওয়া হয়। তখনই ভিডিয়ো করতে শুরু করেন নবনীতা।
জিতু জানান, তাঁদের কাছে ক্ষমা চেয়েছে এসিপি। কাচ ভাঙা নিয়ে তাঁদের দোষারোপ করারও চেষ্টা করা হয়। অভিনেতার কথায়, তাঁদের বিরুদ্ধে প্রমাণ খোঁজার চেষ্টা হচ্ছে দেখে ফের একচা ভিডিয়ো আপলোড করেন নবনীতা। আর তাতেই মুখ্যমন্ত্রীকে ট্যাগ করেন। জিতু এই নিয়ে জানিয়েছেন, ‘নবনীতা কেন ওঁকে ট্যাগ করেছে তাঁর সঠিক কারণ আমার জানা নেই। তবে এটুকু জানি উনি পুলিশ মন্ত্রী। আমাদের সকলের মুখ্যমন্ত্রী। আমি যেমন বুদ্ধবাবুর ভক্ত, ও তেমন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই কারণেই হয়তো ও চেয়েছিল উনি জানুন। কারও কাউকে ভালো লাগতেই পারে, তবে ন্যায় হওয়াটা খুব জরুরি।’