সলমন খান ও ক্যাটরিনা কাইফের সম্পর্কের ইকুয়েশনটা আজ পর্যন্ত বুঝে উঠা সম্ভবপর হয়নি। রণবীর কাপুর পেরিয়ে এখন ভিকি কৌশিলের সঙ্গে প্রেমলীলা মত্ত এই ব্রিটিশ সুন্দরী। তবে মেন্টর সলমন খান তাঁর জীবনের অন্যতম কাছের মানুষ। ক্যাটরিনার বলিউড কেরিয়ারটা গড়ে দিয়েছেন সলমন খান, একথা কারুর অজানা নয়। আজও নিজের কেরিয়ারের সব সিদ্ধান্তের কথা সবার আগে সলমন খানকেই জানান ক্যাটরিনা।
একবার ভাইজান জানিয়েছিলেন জন আব্রাহাম একবার এক ছবি থেকে ক্যাটরিনাকে সরিয়ে দিয়েছিলেন। এই প্রত্যাখ্যান সহজভাবে মেনে নিতে পারেননি ক্যাটরিনা। প্রায় ১৮ বছর আগের ঘটনা এটি। ২০০৩ সালে মুক্তি পেয়েছে জন-তারা শর্মার ‘সায়া’। এই হরর ফিল্মে শুরুতে লিডিং লেডি ছিলেন ক্যাটরিনা।
ইন্ডিয়া টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে সলমন খান জানিয়েছেন, বহু বছর আগে, জন আব্রাহাম ক্যাটরিনা কাইফকে একটা ছবি থেকে সরিয়ে দিয়েছিল। এবার ক্যাটরিনার কাছে সুযোগ আছে.. (হাসি)। আমরা এখনও সেই দৃশ্যগুলো স্পষ্ট মনে আছে, ক্যাটরিনা ওই ছবিটা করছিল এরপর সেই জায়গাটা নিয়ে নেয় তারা শর্মা। ক্যাটরিনা শুধু আওড়ে চলেছিল আমার কেরিয়ার শেষ হয়ে গেল। তিন দিন ধরে এক নাগাড়ে কেঁদেছিল, সবটা আমাকে সহ্য করতে হয়েছিল'। ক্যাটরিনা যতই আত্মবিশ্বাস হারিয়ে থাকুন না কেন, সলমনের ভরসা ছিল। তিনি জানতেন বলিউডের আগামির সুপারস্টার নায়িকা হবেন ক্যাটরিনা। অভিনেতা জানান, 'আমি ওকে বলেছিলাম, এই ঘটনাটা মনে করে ভবিষ্যতে তুমি হাসবে'।
ছ বছর পর ভাগ্যের চাকা ঘুরে যায়। ক্যাটরিনা তখন বলিউডের প্রথম সারির নায়িকা। ২০০৯ সালে নিউ ইয়র্ক ছবির অফার হাতে আসার পর সলমনকে ক্যাটরিনা দুম করে বলে বসেন, ‘এই ছবিতে জন আছে, আমি (সলমন) জানাই তুমি চিত্রনাট্য দেখ, ছবির পরিচালক কে সেটা দেখ- যেই সহ-অভিনেতা হোক না কেন, তাতে কী এসে যায়? ও পালটা বলল, না জন আমায় ওই ছবিটা থেকে বার করে দিয়েছিল। আমি বলেছিলাম, একটু উদার হতে শেখ। আজ তোমার কাছে সেই পজিশন আছে যে তুমি দাবি করতে পার ওকে ছবিটা থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক, কিন্তু সেটা সঠিক হবে না। ক্যাট সেটা বুঝেছিল। ক্যাটরিনা ওই ছবিটা করেছিল, সেটা বক্স অফিসে দারুণ সফল হয়। আমার আর ক্যাটরিনার মহানতার জন্য জন আব্রাহাম একটা বড় হিট ছবি পেয়েছিল’।