৭৫ বছর বয়সে এসেও নাকি তিনি বিছানায় সক্ষম। বেশকিছুদিন আগে কবীর সুমনের এমনই মন্তব্যে তোলপাড় হয়েছিল নেটপাড়া। আবার, সম্প্রতি এক সাংবাদিকের কথা প্রসঙ্গে বিয়ে নিয়েও তাঁর দিকে অপ্রস্তুত করার মতোই প্রশ্ন ছুড়ে দেন সুমন। বলে বলেন, আমি ‘আমি পাঁচবার বিয়ে করেছি। আপনি কি বিয়ে করেছেন?' আর এভাবেই বারবার বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন কবীর সুমন। তবে বিতর্ক যতই থাক, কবীর সুমনের নামের সঙ্গেই আবার জড়িয়ে রয়েছে বাঙালির নস্টালজিয়া। তাঁর গান রয়ে গিয়েছে বহু বাঙালির মণিকোঠায়। গান দিয়েই বারবার বাঙালির ভালোবাসা কুড়িয়েছেন তিনি। কিন্তু গান গাওয়া নিয়েই হঠাৎ কেন আফসোস ধরা পড়ল কবীর সুমনের কথায়?
সম্প্রতি বাংলাদেশের এক অনুষ্ঠানে গিয়ে সেদেশের সংবাদমাধ্যমকে কবীর সুমন বলে বসেন ভারতে আর তিনি গান গাইবেন না। হঠাৎ কেন এমন বললেন সুমন?
আরও পড়ুন-অনন্যাকে নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন? উত্তর দিতে গিয়ে সব কথা ফাঁস করে বসলেন আদিত্য!
আরও পড়ুন-কঙ্গনা প্রেমিকা হিসাবে ভয়ানক, ওঁর বিরুদ্ধে মুখ খুলে ভুল কিছু করিনি: অধ্যায়ন সুমন
সম্প্রতি সাক্ষাৎকারে কবীর সুমন বলেন, ‘আমি যদি আর কোথাও গান গাই তবে বাংলাদেশেই গাইব। ভারতে আর গাইব না। ১৩ বছর পর বাংলাদেশে গিয়েছিলাম, আর তার কিছুদিন আগে দুর্গাপুজোর পঞ্চমীতে কলকাতার কলামন্দিরে একটি অনুষ্ঠান ছিল। পুরো অনুষ্ঠানটাতেই শুধু টেলিফোন বাজল, আর লোকজন কথা বলল! তাই ভারতে আর আধুনিক বাংলা গান গাইব না। গাইলে বাংলা খেয়াল গাইব। কিন্তু বংলাদেশে কেউ আমাকে অপমান করেনি। একটা ফোনও বাজেনি একটা কথাও হয়নি। তাই গান গাইলে বাংলাদেশে গাইব, ভারতে নয়। বাংলাদেশ যেদিন বলবে আমি সেদিনই ছুটে যাব, গাইব।’
এদিকে কবীর সুমনের এমন মন্তব্যের পরই মন খারাপ তাঁর ভারতের অনুরাগীদের। তবে এখানেই শেষ নয়। স্পষ্ট কথা বলতে কোনওদিনই ভয় পান না সুমন। তিনি কথা বলেন পরবর্তী প্রজন্মের অবক্ষয় নিয়েও। বলেন, 'ভয়ঙ্কর! দেখো অবজেকটিভ কন্ডিশন এখন পাল্টে গিয়েছে। যে গুরুদের আমি পেয়েছিলাম, তখন মাস্টারমশাইকে বাংলার বাঘ বলতাম আমরা। উনি ক্লাসে ঢোকার সময় বলতেন আমি কিন্তু সব দেখতে পাচ্ছি। আর উনি ক্লাসে ঢুকলেই বদমায়েশি শুরু করে দিতাম।'
কবীর সুমনের কথায়… ‘এটাই আমাদের দেশ, আমরা রবীন্দ্রনাথকে পেয়েছি, রামমোহন, বিদ্যাসাগরকে পেয়েছি। লজ্জা করে না বাঙালির রবীন্দ্রনাথকে ভেঙাতে! যে বাঙালি তাসের দেশ করেন, তাঁরা কীভাবে এমনটা করেন! এলেম নতুন দেশে গানটা যেভাবে গাওয়া হয়েছে, কেউ নেই যে চড়িয়ে মুখটা লম্বা করে দেয়! আমি তো সামনে পাইনি লোকটিকে পেলে বাবার বিয়ে দেখিয়ে দেব। অন্য কারোর যায় আসে না, তবে আমার যায় আসে। ক্ষমতা থাকলে ভজন নিয়ে এটা করে দেখাও, ওরাঁ মেরে ফেলবে।’