গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ফুসফুসে সংক্রমণ হয়েছিল তাঁর। যদিও বর্তমানে দ্রুত সেরে উঠছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ আরও বহু নেতা মন্ত্রীরাই তাঁকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন। বাদ যাননি ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর মতো অভিনেত্রীরাও। সকলেই তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। ব্যতিক্রম কেবল কবীর সুমন। আরোগ্য নয়, বরং তিনি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর জন্য চেয়ে বসলেন অন্য কিছুই!
তিনি সম্প্রতি দুটো পোস্ট করেছেন সেখানে সরাসরি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের নাম না থাকলেও, ইঙ্গিত কার দিকে সেটা স্পষ্ট। তিনি তাঁর একটি পোস্ট ধনঞ্জয় কাণ্ড এবং তাঁর ফাঁসির জন্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে দায়ী করেন। শুধুই কি তাই? তাঁকে 'প্রৌঢ় ফাঁসুড়ে'র আখ্যাও দেন। ধনঞ্জয়ের ফাঁসির আগের রাতের সঙ্গে তাঁর বর্তমানে অসুস্থতার তুলনা টেনেছেন তিনি। বলেছেন গান স্যালুটের কথাও। তাঁর কবিতা অনুযায়ী, 'নার্সিং হোম ফাঁসির মঞ্চ নয়, বুঝি বা গান স্যালুটের সময় হয়'। গান স্যালুট কখন দেওয়া হয় সেটা সকলেরই জানা। ফলে তিনি কীসের দিয়েছেন এই পোস্টে সেটাও সুস্পষ্ট।
এই পোস্টে তিনি মনে করিয়ে দেন আরও একটি ঘটনা। হাজরা মোড়ে বিরোধী নেতাদের উপর লাঠি চার্জের ঘটনা স্মরণ করিয়ে বলেন যাঁকে তিনি এক সময় হেনস্থা করেছিলেন তাঁকে দেখে এখন হাত নাড়ছেন, লেখেন তিনিই ওঁকে শেষ গান স্যালুট দেবেন সেটা জানেন বোধহয়। প্রসঙ্গত সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেবকে দেখতে গিয়েছিলেন। সেখানে থেকে বেরিয়ে তিনি জানান প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে দেখে হাত নেড়েছেন। সেই সমস্ত ঘটনাই নাম না করে তিনি তাঁর পোস্টে তুলে এনেছেন।
অনেকেই তাঁর পোস্টে তাঁকে সমর্থন করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন তাঁরাও ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর পরিবারের প্রতি সমব্যথী। অনেকে আবার কটাক্ষ করেছেন।
প্রসঙ্গত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছেন। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে তাঁর রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা মোটামুটি স্বাভাবিক আছে। ৯০ এর উপরেই থাকছে। তাই বাইপ্যাপ সাপোর্টে সারাক্ষণ রাখা হচ্ছে না। তিনি কথা বলছেন। তরল জাতীয় খাবারও খাচ্ছেন।