নতুন জীবনে পা রেখেছেন অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টোরাজ। ১৪ ফেব্রুয়ারি সইসাবুদ করে বিয়ে করেছেন অভিনতা, তৃণমূল বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিককে। তবে আইনি বিয়ের সঙ্গে হবে, সামাজিক বিয়েটাও। ৬ মার্চ আয়োজন করা হচ্ছে। অভিনেত্করী জানিয়েছেন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নাকি তুঙ্গে। স্বাভাবিকভাবেই জীবনের এই বিশেষ দিন নিয়ে উত্তেজনা মন জুড়ে। তবে তার মাঝেই সংসার ভাঙার জন্য দায়ি করা হচ্ছে তাঁকে সামাজিক মাধ্যমে। সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, একজন মেয়ে হয়ে কি করে আরেকটি মেয়ে (পিঙ্কি)-র সংসার ভাঙলেন তিনি!
তবে এভাবে শ্রীময়ীর ঘাড়ে ‘তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে সংসার ভাঙার’ দোষারোপ মানতে নারাজ কাঞ্চন। সাফ জানালেন, তিনি বিশ্বাস করেন কোনও সম্পর্কই তৃতীয় ব্যক্তির জন্য ভাঙে না। এমনকী, নিজের এই কঠিন সময়ে পাশে আমাদের দলনেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যাকে পেয়েছেন বলেও জানান কাঞ্চন। কাকতালীয়ভাবে, তিনি ভোটে জিতে ২০২১ সালে বিধায়ক হিসেবে শপথ নেওয়ার পর-পরই এই ঝামেলা এসেছিল প্রকাশ্যে। একদিন হঠাৎ করেই, থানায় যান পিঙ্কি। পরকীয়ার অভিযোগ তোলেন আর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তোলেন কাঞ্চন আর শ্রীময়ীর নামে।
আরও পড়ুন: ‘সব ওঠা-পড়ায় তুমিই…’! বিবাহবার্ষিকীতে ডোনার সঙ্গে ডেটিংয়ের ছবি পোস্ট করলেন সৌরভ
আরও পড়ুন: নামের থেকে ‘কুমার’ মুছলেন দিব্যা, আনফলো করলেন টি সিরিজকে, ভূষণকে ডিভোর্স?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে টেনে এইসময়কে শ্রীময়ী বলেন, ‘আমার সম্পর্ক ভাঙাতে শ্রীময়ীর উপর যে অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে, তাতে আমি বিরক্ত। অথচ আমার দলনেত্রী পাশে থেকেছেন। ডিভোর্স প্রক্রিয়ার জন্য আমি মোটা টাকার ক্ষতিপূরণ দিয়েছি। সেসব হওয়ার পর মনে হয়েছে, যাকে আমার জন্য এত কিছু সহ্য করতে হল, তাঁকে রক্ষা করার দায়িত্ব আমার। বাবার মৃত্যু, মায়ের মৃত্যু, তারপর এই ৩ বছরের কঠিন লড়াইয়ে ও-ই তো আমাকে সঙ্গ দিয়েছে। শ্রীময়ীকে কাঞ্চনের ‘ইয়ে’ বলা হচ্ছিল। সেটা বন্ধ করার দরকার ছিল’।
আরও পড়ুন: রাজের জন্মদিনে দেখালেন মেয়ে ইয়ালিনিকে, ভিডিয়ো বানিয়ে বরকে শুভচ্ছা শুভশ্রীর
দিনকয়েক আগেই জানা যায়, ১০ জানুয়ারি আইনি বিচ্ছেদ হয়েছে কাঞ্চন আর পিঙ্কির। তবে এটা ছিল অভিনেতার দ্বিতীয় বিয়ে। প্রথমবার তৃণমূলের বিধায়ক গলায় মালা দেন অভিনেত্রী অনিন্দিতা দাসের। বর্তমানে ‘তুমি আশেপাশে থাকলে’তে অভিনয় করছেন তিনি নায়িকার মায়ের চরিত্রে। সম্পর্ক ভাঙ্গনের আগে প্রায় সাড়ে সাত বছর সংসার করেছিলেন তারা। কাঞ্চন কটাক্ষে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বললেন তৃতীয় বিয়ে করায় তাঁকে নাকি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, কিশোর কুমারদের ক্লাবে ফেলে দেওয়া হয়েছে।