সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বিবাহবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানালেন ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়কে। তরুণ বয়সের ছবি শেয়ার করে নিলেন সামাজিক মাধ্যমে। বাংলার মহারাজের সেই পুরনো চেহারার দেখা পেয়ে বড্ড খুশি অনুরাগীরা।
ছবি বোঝাচ্ছে তখনও বিয়ে হয়নি সৌরভ আর ডোনার। হলুদ রঙের সালোয়ার ডোনার গায়ে। উপরে চাপানো কালো রঙের সোয়েটার। পাশে বসে থাকা সৌরভের গায়ে কালো ফুল হাতা সোয়েটার। সৌরভের মুখের হাসি বলে দিচ্ছে, লেডি লাভের প্রেমে ঠিক কতটা হাবুডুবু খাচ্ছিলেন দাদা তখন। এই ছবির ক্যাপশনে সৌরভ লিখলেন, ‘জীবনের ওঠা-নামায় আমি তোমাকে পিছনে ঢাল হিসেবে পেয়েছি। বিবাহবার্ষিকীর শুভেচ্
অনুরাগীরাও ভালোবাসায় ভরিয়ে দিলেন সৌরভ আর ডোনাকে। সকলে মিলে বিয়ের জন্মদিনের শুভেচ্ছা তো জানানো হলই, সঙ্গে এই ভালোবাসা যাতে এভাবেই থেকে যায়, তা নিয়েও এল শুভকামনা।
সৌরভ আর ডোনার বাড়ি ছিল বেহালায় পাশাপাশি। ডোনা নিজেই জানিয়েছেন, বল কুড়োতে মাঝেমাঝেই তাঁদের বাড়ির চৌহদ্দিতে চলে আসত ছেলেটা। তাঁরও বেশ ভালো লাগত। টুকটাক কথাও হত। তবে তা প্রেমে পরিণত হয় অনেক পড়ে। সৌরভের এক ভাইয়ের মাধ্যমে হত প্রেমপত্র চালাচালি। কলকাতার বিখ্যাত ম্যান্ডারিন রেস্তোরাঁতে ছিল সৌরভ-ডোনার প্রথম ডেট।
দুজনেই ভেবে রেখেছিলেন, সৌরভ ভারতীয় ক্রিকেট টিমে যোগ দিলেই বিয়েটা করবেন! তবে দু বাড়ির মধ্যে তখন সেভাবে সুসম্পর্ক ছিল না। এমনকী, সৌরভ ব্রাহ্মণ, ডোনারা নন, সেই নিয়ে কাস্টের সমস্যাও ছিল। তাই কাউকে কিছু না জানিয়েই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। সই-সাবুদ করে একে-অপরের হন। বিয়ের পর দিনই শ্রীলঙ্কায় অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সিরিজ খেলতে চলে যান সৌরভ। আইনি বিয়ে হয়েছিল ১৯৯৬ সালে।
এরপর ১৯৯৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে একটি ওয়েডিং রিসেপশন রাখা হয় দুই পরিবারের তরফে। আর ২০০১ সালে সৌরভ আর ডোনার কোল আলো করে আসে তাঁদের মেয়ে সানা।
৯০ এর দশকের সুন্দরী অভিনেত্রী বলিউড নাগমার সঙ্গে নাম জড়িয়েছিল একসময় সৌরভের। নাগমা নাকি সৌরভের প্রেমে পাগল ছিলেন। দাদও নাকি একটু দুর্বল হয়ে পড়েছিল। তবে কখনও ভাবেননি ডোনাকে ছাড়ার কথা। এই সম্পর্কের খবরও ধামাচাপা পড়ে যায়। ২০০৯ সালে নাগমা সংবাদমাধ্যমের কাছেমুখ খুলেছিলেন ব্যর্থ প্রেম নিয়ে। যদিও কোথাও সৌরভের নাম নেননি তিনি। শুধু বলেছিলেন, ‘পৃথিবী দুজন বিখ্যাত মানুষের ঘনিষ্ঠতা পছন্দ করে না। সেটা যেন ধ্বংস ডেকে আনে। আর তাই, সব ছেড়ে দিতে বলা হয়।’
তবে সৌরভ নিজে কখনও প্রকাশ্যে নাগমাকে নিয়ে মুখ খোলেননি।