মুম্বই : পুরোপুরি স্বস্তি মিলল না। তবে দেশদ্রোহ মামলায় গ্রেফতারি থেকে অন্তর্বর্তীকালীন রক্ষাকবচ পেলেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত এবং তাঁর দিদি রঙ্গোলি চান্দেল। একইসঙ্গে আগামী ৮ জানুয়ারি তাঁদের মুম্বই পুলিশের কাছে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বম্বে হাইকোর্ট।
সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের মাধ্যমে ‘বিদ্বেষ এবং সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরির চেষ্টার’ জন্য কঙ্গনা এবং তাঁর দিদির বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছিল। তারপর গত ১৭ অক্টোবর বান্দ্রার ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের নির্দেশের ভিত্তিতে তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। কঙ্গনা ও তাঁর দিদির বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এফআইআরে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪-এ (রাষ্ট্রদ্রোহ), ১৫৩-এ (ধর্ম, বর্ণের ভিত্তিতে বিভিন্ন গোষ্ঠীর ঘৃণা ছড়ানো), ২৯৫-এ (ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দিতে ইচ্ছাকৃত কাজ) এবং ৩৪ ধারা (একই অভিপ্রায়) আছে।
সেই এফআইআর এবং ম্যাজিস্ট্রেটের রায় খারিজ করার আর্জি জানিয়েছে বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বলিউড অভিনেত্রী এবং তাঁর দিদি। সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি এস এস শিন্দে এবং বিচারপতি এম এস কার্নিকের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, পুলিশ তিনবার সমন পাঠিয়েছে। তা সম্মান করতে হবে। কঙ্গনাদের আইনজীবী রিজওয়ান সিদ্দিকি আশ্বাস দেন, নিজেদের বয়ান রেকর্ডের জন্য নয়া বছরের ৮ জানুয়ারি বেলা ১২ টা থেকে দুপুর ২ টোর মধ্যে বান্দ্রা থানায় তাঁর মক্কেলরা যাবেন।
সেই সওয়াল গ্রহণ করে হাইকোর্ট। তারপর ডিভিশন বেঞ্চ বলে, ‘আমাদের মত হল যে বিষয়টি বিস্তারিতভাবে শোনার আগে পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন রক্ষাকবচ প্রাপ্য।’ আবেদনকারীদের গ্রেফতারির থেকেও পুলিশকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।
তবে সেই মামলায় কী কারণে দেশদ্রোহের ধারা যোগ করা হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি শিন্দে বলেন, ‘কেন এই রাষ্ট্রদ্রোহের ধারা যোগ করা হয়েছে? আমাদের দেশের নাগরিকদের সঙ্গে কেন আমরা ব্যবহার করছি?’ পরে হাইকোর্ট জানায়, আগামী ১১ জানুয়ারি মামলাটির ফের শুনানি হবে। সেদিন বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে।