সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট ও ধর্মীয় উস্কানিমূলক মন্তব্যের জেরে আজ বান্দ্রার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কঙ্গনার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দিয়েছে। আর এই নিয়ে নিজের পরিচিত ভঙ্গিতেই জবাব দিলেন কঙ্গনা। এফআইআর নিয়ে এতটুকুও উদ্বিগ্ন নন অভিনেত্রী, বরং ফুরফুরে মেজাজে নবরাত্রির উত্সবের জোয়ারে গা ভাসিয়েছেন কঙ্গনা রানাওয়াত। নবরাত্রির প্রথম দিন সাবেকি লাল বাঁধনি সালোয়ারে সেজে হাসি মুখে ছবি পোস্ট করলেন কঙ্গনা। জানালেন নবরাত্রির প্রথম দিন উপবাস রেখেছেন তিনি। পাশাপাশি আজই মুম্বইতে তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের নতুন এফআইআর নিয়েও কটাক্ষের সুরে ক্ষোভ উগরে দিলেন কঙ্গনা। এদিন মহারাষ্ট্রে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস, শিবসেনা এবং এনসিবির মহাআগাড়ি জোটকে বিঁধে কঙ্গনার মত- ‘পাপ্পু সেনা আমাকে নিয়ে একটু বেশিই অবসেশড’।
কঙ্গনা টুইটারের দেওয়ালে লেখেন- ‘আজ নবরাত্রিকে কারা উপবাস করছেন? আজকের সেলিব্রেশনের ফাঁকে তোলা এই ছবি গুলো। আমিও উপবাস করছি। আর আজ আমার বিরুদ্ধে আরও একটি এফআইআর দায়ের হয়েছে, মহারাষ্ট্রের পাপ্পু সেনা আমাকে নিয়ে একটু বেশিই অবসেশড। আমাকে বেশি মিস করো না শীঘ্রই আমি ওখানে হাজির হব’।
এদিন বান্দ্রা ম্যাজিস্ট্রেট মেট্রোপলিটন কোর্টের তরফে পুলিশকে কঙ্গনা ও তাঁর দিদির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক অভিযোগকারীর পিটিশনের শুনানিতে এই রায় দেয় আদালত। সাম্প্রদায়িক অন্তোষ ও ঘৃণা ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্চেন কঙ্গনা ও রঙ্গোলি- এই অভিযোগ এনে কাস্টিং ডিরেক্টর তথা ফিটনেস ট্রেনার মুন্নাওয়ার্লি সৈয়দ মামলা দায়ের করেছিলেন আদালতে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩এ, ২৯৫এ, ১২৪ ধারায় কঙ্গনা ও রঙ্গোলির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
এদিন নিজের রায়ের কপিতে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জায়দেও খুলে জানান- ‘প্রাথমিকভাবে যা অভিযোগ জমা পড়েছে তাতে অভিযুক্ত শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলেই উঠে আসছে। ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে করা মন্তব্যের ভিত্তিতে এই অভিযোগ- টুইটার এবং নানান সাক্ষাত্কার। অভিযুক্ত টুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেছেন। যদিও এই নিয়ে বিস্তারিত তদন্ত হওয়া প্রয়োজন বিশেষজ্ঞদের দ্বারা… অনুসন্ধান এবং প্রমাণ বাজেয়াপ্ত করা জরুরি’।
লকডাউন চলাকালীন উত্তরপ্রদেশে চিকিত্সকদের উপর আক্রমণের প্রতিবাদে ধর্মীয় উস্কানিমূলক টুইটের জেরে রঙ্গোলির অ্যাকাউন্ট আগেই সাসপেন্ড করেছে টুইটার ইন্ডিয়া। কঙ্গনা অগস্টে অভিযোগ জানান- মুভি মাফিয়ারা তাঁর অ্যাকাউন্টও বাতিল করে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।
মহারাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে কঙ্গনার চাপানউতোরের মাঝেই আদালতের এই নির্দেশ বেশ তাত্পর্যপূর্ন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। গত মাসেই কঙ্গনার পালি হিলের অফিসের ভেঙে গুড়িয়ে দেয় বিএমসি। সেই নিয়েও উদ্ধব সরকার ও শিবসেনার সঙ্গে বিতর্কে জড়ান কঙ্গনা।